প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন মমতা: মুকুল
তৃণমূল কংগ্রেস সার্কাসের দল। বাংলার ব্লকে ব্লকে পরিবর্তনের জোয়ার শুরু হয়ে গেছে। সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের আমলের চাইতেও খারাপ ভাবে চলছে এই সরকার৷ যাকে পছন্দ হচ্ছে না, তার বিরুদ্ধেই বিভিন্ন মামলা রুজু করা হচ্ছে৷ যারা তাঁর বিরোধিতা করবে, তাদের বিরুদ্ধেই ভয়ঙ্কর সব ধারায় মামলা রুজু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে বিরোধীরা কেউ কথা বলতে না পারে৷ এদিন মালদা কলেজ অডিটোরিয়ামে দলীয় এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়৷
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে মালদা জেলা তৃণমূল নিয়েও কটাক্ষ করেন মুকুল৷ তিনি বলেন, এই জেলায় মোয়াজ্জেম যদি ডান দিকে যান, তাহলে সাবিত্রী মিত্র বাম দিকে যায়৷ সাবিত্রী মিত্র যদি বাম দিকে যায়, তবে কিষান ঈশান কোণ দিয়ে পালায়৷ আবার কিষান ঈশান কোণ দিয়ে গেলে নীহার উলটো দিক দিয়ে যায়৷ এখন তৃণমূলটা আর কোনও দল নয়, একটি সার্কাস পার্টিতে পরিণত হয়েছে৷ তবে তিনি এনিয়ে আর কিছু বলবেন না৷ যেদিন মাইক ব্যবহারের অনুমতি পাওয়া যাবে, সেদিন মঞ্চে সমস্ত নথিপত্র পেশ করে তিনি বক্তৃতা দেবেন৷
এদিন তিনি শিল্প নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে মউ দিদি বলে সম্বোধন করেন৷ তুলে ধরেন ও জ্যোতি বসু ও সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের উদাহরণ৷ গত ৮ বছরে ৫টি শিল্প সম্মেলন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেই শিল্প সম্মেলন করতে কত টাকা খরচ হয়েছে, আর কত টাকার শিল্প এসেছে তা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন মুখ্যমন্ত্রী৷ মুকুলের সাফ কথা, বাংলায় শিল্প বলে কিছু হবে না৷ এই রাজ্যে শুধু শিল্প নয়, শিক্ষা কিংবা স্বাস্থ্যও শেষ হয়ে গিয়েছে৷ যে দল গোটা দেশে ৪০টার বেশি আসনে প্রার্থী দিতে পারে না, সেই দলের নেত্রী স্বপ্ন দেখছে প্রধানমন্ত্রী হবার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই স্বপ্ন দেখুন না কেন, ২০২১ এ পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি আসছে।
তবে এদিন মালদা কলেজ অডিটোরিয়ামে মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে দলবদল অনুষ্ঠানে কালিয়াচক ২ ও ৩ এবং বামনগোলা ব্লকের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের শ’তিনেক কর্মী-সমর্থক বিজেপিতে যোগ দিলেও উল্লেখযোগ্য কেউ এদিন গেরুয়া শিবিরে যোগ দেননি৷ তবে একটি বিষয় লক্ষণীয়, এদিন যারা গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন, তাঁদের সিংহভাগই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভূক্ত৷ বুধবার সকালে দলীয় কর্মীদের ভাষণ দিয়ে বালুরঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
ভিডিয়োঃ ক্রিতাঙ্ক
댓글