শুকনো পাতা ঝরিয়ে ফের চনমনে 'যুবক' মুকুল
top of page

শুকনো পাতা ঝরিয়ে ফের চনমনে 'যুবক' মুকুল

ঠিক যেন ২০০৭-০৮ এর পুনরাবৃত্তি। দিন রাত এক করে নির্বাচনের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন মুকুল। একের পর এক সভা, দলীয় কর্মীদের পথ চিনিয়ে দেওয়া শুরু করে নিজে মিছিলে পা মেলাতেও পিছু পা হননি। তফাৎ শুধু একটাই এখন তিনি আর ঘাসফুলের সমর্থনে নেই। সময়ের সাথে ‘পরিবর্তন’ হয়েছে তাঁর রাজনৈতিক ঠিকানারাও। ঘাসফুল ত্যাগ করে পদ্মকে আপন করেছেন মুকুল।


শুকনো পাতা ঝরিয়ে ফের চনমনে 'যুবক' মুকুল

বিগত কয়েকদিনে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মালদা জেলা জুড়ে ভোট প্রচার করেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়৷ প্রচারে হাজির হয়েছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরেও৷ অবশ্য পুলিশের অনুমতি না মেলায় সেখানে একের পর এক সভা বাতিল করতে হয় তাঁকে৷ তা নিয়ে বালুরঘাটে দলীয় কার্যালয়ে নিজের উষ্মাও গোপন করেননি তিনি৷ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার তাঁর পূর্ব পরিচিত৷ একসময় নাম ধরেই ডাকতেন৷ তাই বালুরঘাটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, ‘প্রসূনের কিছু করার নেই৷ নবান্ন তাকে যা বলছে, তাকে তেমনভাবেই চলতে হচ্ছে৷’ তবে সেই প্রসূনের উদ্দেশ্যে তিনি একটি সতর্কবার্তাও শুনিয়ে রেখেছেন৷ ‘আর মাস ছয়েকের মধ্যেই রাজ্যের প্রশাসন ও পুলিশ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নজরদারিতে চলে আসবে৷ তখন প্রসূন নবান্নের কথামতো চলতে পারবে তো?’

বালুরঘাট থেকে বেরোতে পেরিয়ে গিয়েছিল অনেকটা সময়৷ মালদাতেই রাত্রিবাস করার কথা ছিল তাঁর৷ রাত ১০টারও পরে তাঁর কনভয় পেরোচ্ছিল গাজোল৷ কিন্তু ভোট বাজারে ঘড়ির কাঁটা বোধহয় সময়কে বেঁধে রাখতে পারে না৷ অত রাতেও গাজোলের মতো মফ্‌ফসল এলাকায় চলছিল বিজেপির প্রচার৷ তা নজর এড়ায়নি মুকুলের৷ গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়েন তিনি৷ তাঁকে নাগালে পেয়ে উৎসাহের মাত্রা কয়েক গুন বেড়ে যায় বিজেপি নেতা-কর্মী-প্রার্থীদের৷ উৎসাহ যেন বেড়ে যায় ‘যুবক’ মুকুলেরও ৷ বোঝা যায়, ভোটের মরশুমে এখনও তাঁর ইউএসপি রয়েছে আগের মতোই৷

ভোটের ফল কী হবে তা জানতে ঢের দেরি৷ কিন্তু অত রাতেও গাজোলে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের দেখে মুকুল যেন জয়ের গন্ধ পেয়ে গিয়েছেন৷ দাবি করলেন, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ তাঁদের হবে৷ আর গাজোল? গাজোলের মতো এলাকা রাত ১০টায় ফাঁকা হয়ে যায়৷ কিন্তু রাত ১০টা ১০ মিনিটে রাস্তায় দলীয় কর্মীদের ভিড় দেখে তিনিই চমকে গিয়েছেন৷ তিনি নিশ্চিত, এখানে দলের খুব ভালো ফল হবে৷ কর্মীদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, ভালো করে ভোট করতে হবে৷ মানুষ যেন নিজের ভোট নিজে দিতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে৷ আর সন্ত্রাস রুখে দিতে হবে৷ তাহলেই নির্বাচনে তাঁদের কেউ রুখতে পারবে না ৷ রাত ১১টা নাগাদ সেখান থেকে মালদার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় মুকুল রায়ের কনভয়৷

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন


ফাইল চিত্র।

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page