পরীক্ষা শেষ, রেজাল্টের পরে দলীয় জেলা নেতৃত্বের মতামত
top of page

পরীক্ষা শেষ, রেজাল্টের পরে দলীয় জেলা নেতৃত্বের মতামত

অবশেষে কংগ্রেসের দুর্গে ফাটল ধরল। জেলার ১৪৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে মাত্র ৪টি জয় পেয়েছে কংগ্রেস। লোকসভা ভোটের মুখে এই ফলাফল নিশ্চিতভাবে চিন্তায় ফেলেছে কংগ্রেস নেতৃত্বকে। এমন হতাশাজনক ফলাফলের জন্য শাসকদলের সন্ত্রাস ও তৃণমূল-বিজেপি গোপন আঁতাতকে দায়ী করেছে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব।

প্রায় সাড়ে তিন দশক ধরে মালদা জেলার নির্বাচনি ময়দান শাসন করেছে কংগ্রেস৷ প্রয়াত গণি খান চৌধুরির আমল থেকে শুরু, শেষ হল মৌসম নূরের আমলে৷ এর মধ্যে জেলায় কংগ্রেসের হাল ধরেছেন রুবি নূর ও আবু হাসেম খান চৌধুরি৷ তাঁদের আমলেও জেলায় যে কোনও নির্বাচনে দাপিয়ে বেড়িয়েছে কংগ্রেস৷ গত লোকসভা নির্বাচনে জেলার দুটি আসনে জয়লাভ করেছিল কংগ্রেস। গত বিধানসভা ভোটে বামেদের সঙ্গে জোট করে তৃণমূলকে পেছনে ফেলেছিল তারা৷

দলের সাধারণ সম্পাদক নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এই ভোটকে কোনও নির্বাচন বলেই মানতে রাজি হননি৷ তিনি বলেন, ‘এটা ভোট হয়নি৷ ভোটের নামে লুঠ হয়েছে৷ তবে যেটা আমাদের দুর্গ ছিল, সেটা আমাদের দুর্গই থাকবে৷ আমাদের সেই বিশ্বাস আছে৷ ভোটের ফল প্রমাণ করে দিয়েছে, এখানে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের আঁতাত হয়েছিল৷ আর যেভাবে এখানে ভোট লুঠ হয়েছে, রাহাজানি হয়েছে, মানুষ খুন হয়েছে, তাতে এখানে ভোট হয়নি৷ এই ভোট দেখে গণি খানের দুর্গ ভেঙে দেওয়ার স্বপ্ন ভুল৷ আগামী দিনে স্বপ্ন দেখার সময় আসছে৷ সেদিন তারা সব দেখতে পারবে৷’



উত্তর মালদার সাংসদের গলাতেও শোনা গেল একই সুর। কংগ্রেসের এহেন ফলাফলের জন্য তৃণমূলের সন্ত্রাসকেই দায়ী করেছেন মৌসম নূর। ত্রিশঙ্কুর ক্ষেত্রে কি তৃণমূলের বিরুদ্ধে গিয়ে বিজেপির সঙ্গে জোট করার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, কেন্দ্রে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি, রাজ্যে তৃণমূল। এক্ষেত্রে হাইকমান্ডের আদেশের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা।



জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি অম্লান ভাদুরি বলেন, এমন ফল তাঁদের প্রত্যাশিতই ছিল৷ এর আগের নির্বাচনগুলিতে তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে মানুষের সামনে নিয়ে গিয়ে প্রচার করতে পারেননি৷ এবার তাঁরা সেটা করতে পেরেছেন৷ তাছাড়া সাংগঠনিকভাবেও তাঁরা এখন শক্তিশালী৷ অম্লানবাবু বলেন, এই ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, জেলার ৭০ শতাংশ মানুষ তৃণমূলের দিকে ঢলে পড়েছে৷ ২০ শতাংশ বিজেপিকে সমর্থন করেছে৷ বাকি ভোট পেয়েছে কংগ্রেস-সিপিএম৷ বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও তৃণমূলের সঙ্গে তাদের প্রচুর ফারাক৷ গণি খান পরবর্তী সময়ে কংগ্রেসের সাংসদ এবং বিধায়করা জেলার জন্য কোনও কাজ করেননি৷ সেটা মানুষ বুঝতে পেরেছে৷ জেলাবাসী বুঝেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই জেলার উন্নয়ন করতে পারবেন৷

বিজেপির জেলা সভাপতি সুব্রত কুণ্ডু জানান, বিজেপি এই জেলায় সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে জেলা পরিষদ গঠন করতে পারত৷ সেটা বুঝতে পেরেই ছাপ্পা ভোটের পরিকল্পনা নেয় শাসকদল৷ পুলিশ প্রশাসন এবং দুষ্কৃতীদের সাহায্যে জেলা জুড়ে ব্যাপক ছাপ্পা ভোট দিয়ে ভোটের ফল পালটে দিয়েছে৷ তাঁদের মতে, বিজেপি এই জেলায় এখন প্রথম স্থানে রয়েছে৷ আগামী ভোটগুলিতে তাঁরা প্রমাণ করে দেবেন, পঞ্চায়েত ভোটে এই জেলায় কী কারচুপি হয়েছিল৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

ভিডিয়োঃ কৃতাঙ্ক

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page