জল পড়ে পাতা নড়ে, পাগলা দিলীপের মাথা নড়ে: ববি
top of page

জল পড়ে পাতা নড়ে, পাগলা দিলীপের মাথা নড়ে: ববি

এনআরসি হল ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত। ভারতবর্ষের অখণ্ডতার উপর আঘাত হানছে বিজেপি সরকার, তাঁর প্রতিবাদ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার মালদায় এসে এই মন্তব্য করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি অভিযোগ করেন, সত্যি যদি এই ৪০ লক্ষ মানুষ ভোটার না হন বা তাঁরা ভোট না দেন তাহলে সরকারের উচিৎ পদত্যাগ করা। কারণ এই মানুষগুলি ভোট দিয়েছে ও রাজ্য সরকার তাদের ভোটের উপর ভিত্তি করে সরকার গঠন করেছে। বর্তমানে ভারতবর্ষে সাম্প্রদায়িকতার ও উন্মাদের সরকার চলছে। রামরাজ্য নয় বরং হনুমানের রাজ্য চলছে। কে কি খাবে কি খাবে না, কে প্রেম করবে কি করবে না, কে কোথায় কাজ করবে কি করবে না তা ঠিক করছে বিজেপির কর্মকর্তারা। এ যেন একটা আদিম যুগে আমাদের পৌঁছে দিয়েছে। যেখানে আমরা নতুন টেকনোলজির যুগে এগিয়ে জেতে চাইছি আর এরা টেনে নিয়ে জেতে চাইছে আদিম যুগে। এর প্রতিবাদ আমরা করতে গিয়েছিলাম কিন্তু যেহেতু বিজেপি গণতন্ত্র মানে না তাই মানুষের সাথে দেখা করতে আমাদের আটকাল। কিন্তু নিপীড়িত, অবহেলিত মানুষের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় আছেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন। অমিত শাহ বা মোদী সরকার তৃণমূলের কণ্ঠরোধ করতে পারবে না। ২০১৯ সালে এই সাম্প্রদায়িক সরকার আর থাকবে না সেই ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত।



তিনি আরো বলেন, এনআরসি নিয়ে যে আসাম একর্ড হয়েছিল ১৯৮৫ সালে কিন্তু তাঁর ব্যবহারিক প্রয়োগ হয়নি। কারণ ১৯৭১ সালে যারা আসামে প্রবেশ করেছিল তখন তাদের ফিরিয়ে দেওয়া উচিৎ ছিল। এমনিতেই একজন মানুষ ১০ বছর বাস করলে সে নাগরিকত্ব পায়। কিন্তু এই মানুষগুলি ৪০ বছর ধরে আসামে বসবাস করলেও বর্তমানে তাঁদের অনুপ্রবেশকারী হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে কারণ তাঁরা বাঙ্গালি, কেউ কেউ বিহারি কেউ কেউ মুসলমান। ভারতবর্ষে যে কেউ যে কোনো জায়গায় থাকতে পারে। এটা একটি অধিকার। কিন্তু এই এনআরসি–র ফলে বিভিন্ন যায়গায় শুরু হয়ে যাবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা যা কখনই কাম্য নয়।

দিলীপ ঘোষের হুঙ্কার প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন “জল পড়ে পাতা নড়ে, পাগলা দিলীপের মাথা নড়ে”। পশ্চিমবঙ্গে কোনোদিন বিজেপি আসবে না আর এনআরসি হবেও না। মাত্র ৩ টা আসন নিয়ে এইসব হুঙ্কার দিয়ে কোন লাভ নেই। ২০১৬ সালে বিজেপি বলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসবে না, কিন্তু মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবার ফিরিয়ে এনেছে। সিপিএম-এর অপদার্থতার জন্য তাঁরা আজ ২৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে অথচ তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ৬২ শতাংশ। ফার্স্ট বয় যেখানে ৯৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছে সেখানে ও সেকেন্ড বয় পাশ মার্কস ও পায়নি। এটাই আমাদের সঙ্গে পার্থক্য। এখানে হিন্দু, মুসলমান, শিখ, মাড়োয়ারি, সবাই মিলেমিশে একসঙ্গে থাকব। এই প্রসঙ্গে তিনি পশ্চিমবঙ্গকে সকল দেশের রাণী সে দেশ আমার বঙ্গভূমি বলে অভিহিত করেন।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

ভিডিয়োঃ কৃতাঙ্ক


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page