বেদে পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিল পুলিশ
top of page

বেদে পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিল পুলিশ

সাপ খেলা দেখানো বেআইনি৷ খেলা দেখাতে গেলে গ্রেফতার করছে বন দফতর৷ ফলে এখন অন্ন সংস্থান করতে চরম সমস্যায় পড়েছেন চাঁচল ২ ব্লকের কাণ্ডারণের বেদে সম্প্রদায়৷ করোনাকালে সেই সমস্যা আরও বেড়েছে৷ পরিস্থিতির প্রয়োজনে ইতিমধ্যেই পেশা বদলেছেন অনেকে৷ যারা এখনও অন্য কাজে জড়িত হতে পারেননি, তাঁদের সম্বল ভিক্ষা৷ যেখানে পেটে খাবার জোটে না, সেখানে এই সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েদের শিক্ষার কল্পনা করা অর্থহীন৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে চাঁচল থানার পুলিশ৷ থানার তরফে প্রায় দুশো বেদে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে কিছু খাদ্যসামগ্রী৷ তার মধ্যে যেমন চাল-ডাল রয়েছে, তেমনই রয়েছে বাচ্চাদের বেবিফুডও৷

চাঁচল থানার আইসি সুকুমার ঘোষ জানাচ্ছেন, লকডাউনের দ্বিতীয় পর্যায়ে এই বেদে সম্প্রদায় ভীষণ সমস্যায় রয়েছে৷ এরা খুব গরিব৷ এদের কয়েকজন আমাদের কাছে সাহায্য চাইতে এসেছিল৷ তাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে আমরা এলাকার কিছু ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের সাহায্য নিয়ে এবং নিজেদের আর্থিক সহযোগিতায় এদের প্রায় দুশো পরিবারকে সামান্য কিছু সাহায্য করেছি৷ পাঁচ কিলো করে চাল, এক কিলো ডাল, দুকিলো আলু, এক কিলো পেঁয়াজ সহ কিছু দেওয়া হয়েছে৷ গর্ভবতীদের জন্য হরলিকসও দেওয়া হয়েছে৷ তবে সাপ খেলা আইনবিরুদ্ধ৷ সেটা নিয়ে আমরা কিছু করতে পারব না৷


বেদে সম্প্রদায়ের মানুষজন কিন্তু তাৎক্ষণিক সাহায্য চাইছেন না৷ তাঁরা চাইছেন নিজেদের সমস্যার স্থায়ী সমাধান৷ সরলা বেদে, সাকিনা বেদে, হাসিরুদ্দিন বেদেরা বলছেন, তাঁদের বাপ-ঠাকুরদারা এই পেশাকেই আঁকড়ে বেঁচে থেকেছে৷ তাঁরাও সাপ ধরা আর খেলা দেখানো ছাড়া কোনও কাজ জানেন না৷ এদিকে সরকার আইন করে সাপ খেলা দেখানো বন্ধ করে দিয়েছে৷ পেট চালাতে ইতিমধ্যে কয়েকজন দাদন খাটতে বাইরে যাচ্ছে৷ বেশিরভাগই ভিক্ষা করে সংসার চালাচ্ছে৷ তাঁরাও চান, তাঁদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করুক৷ বড়ো হোক৷ নিজের পায়ে দাঁড়াক৷ কিন্তু যেখানে পেটই চলে না, সেখানে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শেখানোর কথা তাঁরা চিন্তাতেও আনতে পারেন না৷ সরকারের কাছে তাঁদের আর্জি, তাঁদের নিয়েও ভাবা হোক৷ কারণ, তাঁরাও এই দেশের নাগরিক৷




আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page