চিকিৎসকের গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগ, উত্তেজনা সামসীতে
গলায় খাওয়ার আটকে যাওয়ায় ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন পরিবারের লোকজন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা ভালো করে পরীক্ষা না করেই ওই ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের সামসী গ্রামীণ হাসপাতালে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রতুয়া থানার পুলিশ।
মৃত ব্যক্তির নাম উৎপল চক্রবর্তী (৪১)। পেশায় পুরোহিত উৎপলবাবুর বাড়ি সামসী দেশবন্ধু পাড়ায়৷ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল বেলা তিনটে নাগাদ খাওয়ার খাচ্ছিলেন উৎপলবাবু। সেই সময় তাঁর ফোন আসে। ফোনে কথা বলতে গিয়ে তাঁর গলায় খাওয়ার আটকে যায়। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি তাঁকে সামসী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। অভিযোগ, সেখানে উৎপলবাবুর ইসিজি পরীক্ষার রিপোর্ট দেখেই উৎপলবাবুকে মৃত ঘোষণা করা হয়। খানিক সময়ের মধ্যেই উৎপলবাবুকে স্ট্রেচারে নড়চড়া করতে দেখেন পরিবারের লোকজন। চিকিৎসককে তা জানালে চিকিৎসক উৎপলবাবুকে রেফার করার কথা জানান। এরই মধ্যে বিএমওএইচ হাসপাতালে পৌঁছন। তিনি উৎপলবাবুকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন পরিবার সহ স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দা নয়ন দাস জানান, গলায় খাবার আটকে উৎপলদা অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল৷ হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ঠিকমতো পরীক্ষা না করেই দাদাকে মৃত ঘোষণা করেন৷ কিছুক্ষণ পর স্থানীয় কয়েকজন এসে দেখে, তখনও উৎপলদার জ্ঞান রয়েছে৷ ডাক্তারবাবুরা সরকারি হাসপাতালে সময় দিতে চান না। প্রাইভেট চেম্বারে বসার জন্য তাঁদের অনেক সময়। চিকিৎসকের গাফিলতিতেই দাদার মৃত্যু হয়েছে।
এই ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি অভিযুক্ত চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা সরকার কিংবা রতুয়া ১ নম্বর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রাকেশ কুমার৷ তবে বিডিও রাকেশ টোপ্পো জানান, হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে কিছু অভিযোগ এসেছে৷ অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ ওই ব্যক্তির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পরই সমস্ত বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাবে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments