top of page

সরকারি হাসপাতালে মিলছে না স্যালাইন-ওআরএস, পরিসেবা নিয়ে ক্ষোভ

রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান থেকে শুরু করে তাঁর মন্ত্রীসভার সদস্যরা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে গুণগান গাইছেন। বিশেষ করে গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাল আমুল পরিবর্তনের দাবি করছে শাসকদল। অথচ সেই সময়েই গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে চাঁচল ২ ব্লকে।


চাঁছল ২ ব্লকের হাসপাতালটি মালতিপুরে অবস্থিত। সেই মালতিপুর হাসপাতাল নিয়েই স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অভিযোগ, হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী নেই। প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রের মজুতও বেশিরভাগ সময়ই থাকে না। বাধ্য হয়ে রোগীর আত্মীয়দের বাইরে থেকে সামান্য স্যালাইন কিংবা ওআরএস কিনে আনতে হচ্ছে। হাসপাতালের বেডের অবস্থা শোচনীয়। মাথার ওপরে ফ্যান থাকলেও তা অচল হয়ে পড়ে রয়েছে।


স্থানীয় জামালপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল জাব্বার জানান, রাজ্য সরকার নাকি স্বাস্থ্য পরিসেবায় প্রচুর টাকা খরচ করছে। কিন্তু তার প্রতিফলত তো দেখা যাচ্ছে না। আমার স্ত্রী ডিহাইড্রেট হয়ে বমি-পায়খানা করে যাচ্ছে। অথচ এই হাসপাতালে সামান্য এই সমস্যার ওষুধ নেই। সরকারি হাসপাতালে ওআরএস, স্যালাইন পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না।

আরেক স্থানীয় বাসিন্দা রাজকুমার ওঁরাও জানান, হাসপাতালের বেডগুলির অবস্থা শোচনীয়। ফ্যান থাকলেও বেশিরভাগ ফ্যানই খারাপ। শৌচালয় নোংরা হয়ে পড়ে রয়েছে। চিকিৎসাধীন রোগীদের বেশিরভাগ ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।

ঘটনাপ্রসঙ্গে চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক সৈয়দ ইকবাল জানান, কিছু ওষুধ সবসময় হাসপাতালে মজুত থাকে না৷ সেই ওষুধ রোগীদের বাইরে থেকে কিনে আনতে বলা হয়৷ বেড এবং ওয়ার্ড নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে৷ সেই সমস্যা সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আবেদন করা হয়েছে। নার্সিং স্টাফ বাড়ানোর জন্যও আমরা আবেদন জানিয়েছি।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page