ভোটদানের হার কমল কীভাবে, প্রশ্ন বিরোধীদের
শাসকদলের পর ভোট চুরির অভিযোগ উঠল নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। এনিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে বাম-গেরুয়া শিবির।
ইংরেজবাজার পুরসভায় ভোটদানের হার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। অভিযোগ, রবিবার ভোটের দিন প্রতি ২ ঘণ্টা অন্তর কমিশনের তরফে ভোটদানের পরিসংখ্যান দেওয়া হচ্ছিল। সেই নথিপত্রে স্বাক্ষর ছিল রিটার্নিং অফিসারের। বিকেল পাঁচটায় ইংরেজবাজারে ভোটদানের হার ছিল ৮০.২১ শতাংশ। অথচ সমস্ত বুথে ভোটগ্রহণের পর ফাইনাল টার্নআউটে দেখা যায় মোট ভোটদানের হার ৭৭.৫৬ শতাংশ। পাঁচটার পর যারা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁদের ভোটদান সংগ্রহ হলে ভোটদানের হার বাড়বে। কমবে না। শাসকদলের জয় নিশ্চিত করতেই ভোট চুরি করা হয়েছে।
বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল জানান, বিকেল পাঁচটায় অবজারভারের স্বাক্ষরিত টার্নআউটে দেখা যাচ্ছে, ইংরেজবাজারে ভোটদানের হার ৮০.২১ শতাংশ। অথচ ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর জানানো হচ্ছে মোট ভোটদান হয়েছে ৭৭.৫৬ শতাংশ। বিকেল পাঁচটার পরও ভোটের লাইনে লোক দাঁড়িয়েছিলেন। অর্থাৎ ফাইনাল টার্নআউট আরও বেশি হওয়ার কথা। তাহলে বাকি ভোট কোথায় গেল? শাসকদলের নেতারা এত ছাপ্পা ভোট করেও জিতবেন কিনা বুঝতে পারছেন না। তাই কমিশন তাঁদের জেতাতে এভাবে ভোট চুরি করেছে। দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এনিয়ে বিজেপি আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করছে।
একই বক্তব্য সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কৌশিক মিশ্র ও কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক মোত্তাকিন আলমের। তাঁদের দাবি, ভোটে এত লুট করার পরেও নিশ্চিত নয় শাসকদল। নিশ্চিত নয় প্রশাসনও। ভোট লুট থেকে চুরি, শাসকদলকে জেতাতে সবই করা হচ্ছে। এখানে ইভিএম নিয়েও কারচুপি করা হয়েছে। বিকেল পাঁচটায় ভোট সংগ্রহ হল ৮০.২১ শতাংশ। শেষে তা কমে দাঁড়াল ৭৭.৫৬ শতাংশ। এর জবাব নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments