তুর্তিপুর ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত গ্রেফতার, ফাঁসির দাবি করেছেন মৃতের মা
top of page

তুর্তিপুর ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত গ্রেফতার, ফাঁসির দাবি করেছেন মৃতের মা

অবশেষে তুর্তিপুর ছাত্রী ধর্ষণকাণ্ডে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বাকি অভিযুক্তরা এখনো পলাতক। ধৃতকে এদিন জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি করেছেন মৃত ছাত্রীর মা।


উল্লেখ্য, গত ২৩ জুন মোথাবাড়ির একটি গ্রামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ করা হয় এলাকারই কুখ্যাত দুষ্কৃতী রেজাউল শেখ ও তার দলবলের বিরুদ্ধে৷ পরদিন সেই ছাত্রী স্থানীয় মোথাবাড়ি থানায় রেজাউল সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে৷ অভিযোগ, তারপর থেকেই ওই কিশোরী সহ তার পরিবারের লোকজনকে শাসাচ্ছিল রেজাউল ও তার দলবল৷ এমনকি অভিযোগ প্রত্যাহার না করা হলে তারা ওই কিশোরীকে খুন করবে বলেও হুমকি দিচ্ছিল৷ এরপরই গত ২৭ জুন পরিবারের বড়োদের অনুপস্থিতিতে রেজাউল দলবল নিয়ে ওই কিশোরীর বাড়িতে ঢোকে৷ পিস্তল দেখিয়ে ওই কিশোরীর দিদিকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়৷ বেশ কিছুক্ষণ সেই ঘরে থাকার পর তারা চলে যায়৷ পরে পরিবারের লোকজন সহ গ্রামবাসীরা ওই বাড়িতে গিয়ে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান৷ খবর পেয়ে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে৷



অভিযোগের পর থেকেই গা-ঢাকা দিয়েছিল রেজাউল ও তার দলবল৷ গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায়, রেজাউল মুম্বই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে৷ সেই খবর পেয়েই জাল পাতে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ৷ ওসি রামপ্রসাদ চাকলাদার জানান, মঙ্গলবার রাতে রেজাউলকে বৈষ্ণবনগর ও ফরাক্কার মধ্যবর্তী একটি জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয়৷ মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিল সে৷

আগের খবরঃ

প্রাথমিক তদন্তে মোথাবাড়ি থানার পুলিশের অভিমত, ওই কিশোরীকে খুন করা হয়নি৷ সে আত্মহত্যা করেছে৷ মৃত কিশোরীর বাবা-মা’র অভিযোগ, রেজাউল ও তার দলবল তাঁদের মেয়েকে খুন করেছে অথবা আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে৷ এই ঘটনায় রেজাউলের ফাঁসির দাবি করেছেন মৃত কিশোরীর মা৷ তাঁদের আইনজীবী মৃত্যুঞ্জয় দাসের বক্তব্য, তাঁরা মনে করছেন, ওই কিশোরীকে খুন করা হয়েছে৷ তিনি এই ঘটনায় কাস্টডিয়াল বিচার চান৷ একই সঙ্গে বাকি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page