১৬ বছর পর বাড়ি ফিরলেন মানসিক ভারসাম্যহীন প্রৌঢ়
top of page

১৬ বছর পর বাড়ি ফিরলেন মানসিক ভারসাম্যহীন প্রৌঢ়

মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বাড়ির লোককে না জানিয়ে উত্তরপ্রদেশের মথুরা থেকে মালদায় এসে পৌঁছে ছিলেন ডাক্কু বেদবীর৷ ১৬ বছর ধরে এদিক ওদিক ঘোরাঘুরির পর অবশেষে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাহায্যে পরিবারকে ফিরে পেলেন উত্তরপ্রদেশের এই প্রৌঢ়।


স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বছরখানেক ধরে এই প্রৌঢ়কে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যাচ্ছিল। সবাই ধারণা করেছিলেন তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। স্থানীয় কিছু মানুষ তাঁকে খাবার দিতেন। আরএসপির জেলা সম্পাদক সর্বানন্দ পাণ্ডে একদিন ওই বৃদ্ধকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান৷ বৃদ্ধের চুল-দাড়ি কাটিয়ে, স্নান করিয়ে, নতুন পোশাক পরিয়ে ছবি তুলে হবিবপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে পাঠান। এরই মধ্যে ওই বৃদ্ধ সর্বানন্দবাবুকে কিছু তথ্য দেন। সেই থেকেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে উত্তর প্রদেশের মথুরার মালহু গ্রামের এক রেশন ডিলারের ফোন নম্বর মেলে। তাঁর থেকেই ওই বৃদ্ধের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। আজ ওই বৃদ্ধকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে মালদায় আসেন দুই ছেলে। অবশেষে পরিবারের সঙ্গে বাড়ি ফিরলেন ওই বৃদ্ধ।



সর্বানন্দবাবু জানান,

প্রায় ৬ মাস ধরে ওই বৃদ্ধকে দেখছি৷ তাঁর সঙ্গে কথা বলছি৷ তিনি আমার কাছের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন৷ অবশেষে ১৬ বছর পর ওই বৃদ্ধ তাঁর পরিবারের কাছে ফিরে গেলেন। এর থেকে আনন্দের কিছু হতে পারে না৷

ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার তারাশংকর রায় জানান,

আরএসপির জেলা সম্পাদক সর্বানন্দ পাণ্ডে আর বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলা সভাপতি উজ্জ্বলবাবুর ফোনেই জানতে পারি, মালদার বুলবুলচণ্ডী মোড়ে এক অসহায় ব্যক্তি পড়ে রয়েছেন৷ সেই খবর পেয়ে আমরা বৃদ্ধকে আমার বাড়ি নিয়ে যাই৷ অবশেষে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। জানা যায়, ১৬ বছর আগে তিনি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন৷ পরিবারের প্রত্যেকে ভেবেছিলেন, তিনি বোধহয় মারা গিয়েছেন৷ তাঁর স্ত্রী শাঁখা-সিঁদুর পরা বন্ধ করে দিয়েছিলেন৷ অবশেষে আজ তাঁকে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছি।

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page