দুই বছরের সন্তানকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা মায়ের
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
- 3 days ago
- 2 min read
পারিবারিক সমস্যার জেরে ২ বছরের সন্তানকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা মায়ের। বর্তমানে ওই মহিলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটেছে গাজোলের আহোড়া গ্রামে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের না হওয়ায় আপাতত মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
গাজোল ব্লকের করকচ গ্রাম পঞ্চায়েতের আহোড়া গ্রামের বাসিন্দা গণেশ সরকার। তিনি বিদ্যুৎ দপ্তরের অস্থায়ী কর্মী। বছর তিনেক আগে জনকা মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। তাঁর দুই বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধেয় সেই সন্তানকেই খুন করেছেন জনকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের জেরায় ওই মহিলা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় বাড়িতে কেউ ছিল না৷ ওই মহিলা নিজেই বালিশ চাপা দিয়ে বাচ্চাকে মেরে ফেলেছেন৷ তারপর নিজে বিষ খেয়েছিলেন৷
জিজ্ঞাসাবাদে ওই মহিলা পুলিশকে জানান, গত পরশু ওই মহিলা তাঁর স্বামীকে ভাত খেতে দিয়েছিলেন। তাঁর স্বামী কম ভাত খাওয়ায়, তিনি কম ভাত দিয়েছিলেন। এনিয়ে তাঁর স্বামী অনেক কথা শোনান। তাঁকে বিষ খেয়ে মরে যেতে বলেন। তাঁকে বাড়ির কেউ দেখতে পারেন না। তাই তিনি বাচ্চাকে মেরে আত্মঘাতী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

জনকার স্বামী গণেশ সরকার জানান, ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না৷ কাজে গিয়েছিলাম৷ খবর পেয়ে বাড়িতে ছুটে গিয়ে ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে আসি৷ চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, অনেকক্ষণ আগেই ছেলের মৃত্যু হয়েছে৷ স্ত্রীর সঙ্গে আমার এমন কিছু ঘটনা ঘটেনি যে এত বড় কাণ্ড ঘটবে৷ যে কোনও সংসারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অল্পবিস্তর ঝগড়া হতেই পারে৷ কিন্তু তার জন্য এত বড় শাস্তি? আমি আর কিছু ভাবতে পারছি না৷
জনকার শ্বশুরমশাই গোবিন্দ সরকার জানান, আমি রেশন আনতে গিয়েছিলাম৷ বাড়িতে বউমা আর নাতি ছিল৷ রেশন নিয়ে বাড়ি ফিরে দেখি, ওরা ঘুমোচ্ছে। আমি ফের বাইরে চলে যাই৷ পরে জানতে পারি, বউমা আমার নাতিকে খুন করে নিজে বিষ খেয়েছে৷ সঙ্গে সঙ্গে ওদের হাসপাতালে নিয়ে আসি৷ নাতিকে খুনের কথা বউমা স্বীকার করেছে৷ আমি ওর বিরুদ্ধে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করব৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন