সিপিএম প্রধান কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন অভিযোগ যুব কংগ্রেস নেতার
top of page

সিপিএম প্রধান কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন অভিযোগ যুব কংগ্রেস নেতার

গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে প্রায় এক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তির ছুঁড়েছেন যুব কংগ্রেস নেতা৷ এদিন তিনি নিজের অভিযোগপত্র জেলাশাসকের দপ্তরে জমা দিয়েছেন৷ তাঁর অভিযোগ, একশ্রেণির সরকারি আধিকারিকের সহায়তায় ওই বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন সিপিএম প্রধান৷ এব্যাপারে এর আগেও তিনি এর আগে বিডিও ও মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেও সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও তদন্ত হয়নি৷ যদিও বিষয়টিকে বিরোধীদের অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত প্রধান৷

কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই প্রকল্পে পঞ্চায়েতের কোথাও একটিও গাছ লাগানো হয়নি৷ অথচ দপ্তরের কিছু কর্মীকে হাত করে এবং ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করে সিপিএমের প্রধান অন্তত এক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন৷


ঘটনাটি হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের৷ ওই ব্লকের যুব কংগ্রেস সভাপতি মহম্মদ মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, প্রায় দু’বছর আগে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বনসৃজন কর্মসূচিতে হাত দেওয়া হয়৷ এই কাজে মোট ৬৪টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই প্রকল্পে পঞ্চায়েতের কোথাও একটিও গাছ লাগানো হয়নি৷ অথচ দপ্তরের কিছু কর্মীকে হাত করে এবং ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করে সিপিএমের প্রধান অন্তত এক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন৷ এই ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরির প্রক্রিয়া চলাকালীনই তিনি গোটা ঘটনা জানিয়ে গত ৫ মে হরিশ্চন্দ্রপুর ২-এর বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷ কিন্তু বিডিও কোনও তদন্ত না করায় তিনি গত ২ জুন এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন চাঁচলের মহকুমাশাসককে৷ অদ্ভুতভাবে তিনিও নিশ্চুপ থাকেন৷ সরকারি অর্থের লুঠ রুখতে শেষ পর্যন্ত এদিন তিনি জেলাশাসকের কাছে নিজের অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন৷

যদিও সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মেহেরুন্নেশা বিবি, মিজানুর সাহেবের এই অভিযোগকে বিরোধীদের অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দিয়েছেন৷ তিনি জানান, এর আগেও বিরোধীরা এনিয়ে বিডিও’র কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিল৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিডিও তদন্তও করেন৷ তারপরেই সেই কাজের বিল পাশ হয়৷ এখনও পঞ্চায়েতের রাস্তার ধারে অনেক গাছই বেঁচে রয়েছে৷

এপ্রসঙ্গে বিডিও কৃষ্ণচন্দ্র দাস বলেন, তিনি নতুন দায়িত্বে এসেছেন৷ এক্ষেত্রে কী হয়েছে তা তাঁর জানা নেই৷ তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছেন৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন



বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page