top of page

হুল দিবস পালনে বিতর্ক জেলায়

Updated: Feb 26, 2020

যথাযথ শ্রদ্ধা ও মর্যাদার সঙ্গে মালদা জেলায় পালিত হল ১৬৫ তম হুল মাহা অর্থাৎ হুল দিবস। রবিবার সকালে জেলার আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন মালদা আদিবাসী রিক্রিয়েশন ক্লাব প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও হুল দিবসের প্রধান শহীদ নেতৃত্ব সিধু ও কানুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সংগঠনের সদস্যরা। উল্লেখ্য বিকেলে মূল অনুষ্ঠানটি হয় ইংরেজবাজার শহরের প্রাণকেন্দ্র বৃন্দাবনী ময়দানে। এই মূল অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার কমার্শিয়াল ট্যাক্স অফিসার মাননীয় কাজল মুর্মু মহাশয়। অনুষ্ঠানে আদিবাসী নেতৃবৃন্দ হুল দিবসের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন। ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশাহারের ব্যবস্থা। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জেলার আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত চারজন ছাত্রছাত্রীকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়াও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত প্রথম তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়। উল্লেখ্য যে হুল দিবস উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিগত সপ্তাহে ক্লাব প্রাঙ্গণে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল।



এ প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে যে ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দের ৩০শে জুন যে ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহের সূচনা ঘটেছিল সেই দিবসকে স্মরণ করেই প্রতিবছর ৩০শে জুন হুল দিবস পালন করা হয়ে থাকে। তবে এবছরের হুল দিবস পালন করা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়েছে। জেলার এক সাংসদ নিজে আদিবাসী হয়েও এই হুল দিবসে উপস্থিত থাকেন নি। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন যে, এই উৎসবের জন্য তাঁকে কোনও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এবং আমন্ত্রণপত্রে কোথাও তাঁর নামের উল্লেখ নেই। এদিকে শাসকদলের কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকেও এদিনের অনুষ্ঠানে দেখা যায় নি। তবে রাজ্য সরকারের তরফে এদিন সংবাদপত্রে বিভিন্ন জেলায় হুল দিবস পালনের বিজ্ঞাপন ছাপা হলেও মালদা জেলার নাম সেই তালিকায় ছিল না। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সরকারি উদ্যোগে হুল দিবস (#HULMAHA) পালন করা হলেও মালদা জেলাতে সরকারি উদ্যোগে তা পালন করা হল না কেন? এই প্রশ্ন তুলেছেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের একাংশ।

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page