নাবালিকার গলা কাটা দেহ উদ্ধারে অগ্নিগর্ভ শহর
top of page

নাবালিকার গলা কাটা দেহ উদ্ধারে অগ্নিগর্ভ শহর

নিখোঁজ নাবালিকার গলা কাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় দিনভর উত্তেজনা শহর জুড়ে। অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর করে আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় চলে অবরোধ। বন্ধ করে দেওয়া হয় একাধিক দোকান। গোটা ঘটনা নিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

 

উল্লেখ্য, গত ২৯ জানুয়ারি সন্ধেয় বালুচর এক নাবালিকার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ ওঠে৷ পরিবারের তরফে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ ঘটনার তদন্তে নেমে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ জানতে পারে এই নাবালিকা একটি মোটরবাইকে বাড়ির সামনে থেকে চলে যায়৷ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী পুলিশ এক যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে৷ গতকাল গভীর রাতে আমবাজার এলাকা থেকে ওই নাবালিকার গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয়৷ প্রায় ৫০ মিটার দূরে একটি বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে উদ্ধার হয় মাথা৷ নিমেষে এই খবর চাউর হয়ে যায়৷ ক্ষিপ্ত স্থানীয় লোকজন ইংরেজবাজার থানার সামনে ছুটে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে থানায় ছুটে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার৷

 

আজ সকালে ক্ষিপ্ত জনতা অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি ভাঙচুর করে। আসবাবপত্র বাইরে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে শহরের ফোয়ারা মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে চলতে থাকে অবরোধ। প্রায় ৪৫ মিনিট অবরোধের পরও পুলিশের কোনো হেলদোল না দেখে বিক্ষোভকারীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে রথবাড়িতে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। বন্ধ করে দেওয়া হয় একাধিক দোকান। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ছুটে আসেন পুলিশকর্তারা। দীর্ঘক্ষণ ধরে বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলে দেওয়া হয়। এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে ময়দানে নামে বিজেপি ও বামফ্রন্ট। দুপুরেই ইংরেজবাজার থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় গেরুয়া শিবির।

 



পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান,

ধৃত যুবক সম্পর্কে ওই নাবালিকার আত্মীয়। প্রাথমিক জেরায় সে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। কঠোর জেরায় এক সময় নিজের অপরাধের কথা মেনে নেয় অভিযুক্ত। তুলে নিয়ে যাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই ওই নাবালিকাকে গলা কেটে খুন করে সে। প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মাথা ও দেহ আলাদা জায়গায় ফেলে দেয় অভিযুক্ত। ধৃতকে আজ পুলিশি হেপাজতের আবেদনে মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে। ওই নাবালিকাকে কোনোভাবে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে কিনা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই বলা সম্ভব হবে।

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন



বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page