পরিদর্শনে এসে কেন্দ্রকে তোপ মন্ত্রীর, ক্ষোভ বিধ্বস্তদের
মানিকচক ও রতুয়ার ভাঙন বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে করলেন রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। সঙ্গে ছিলেন সেচ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন সহ একাধিক বিধায়ক ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা। পরিদর্শনে নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে, রাজ্য সরকার এই বিপর্যয় মোকাবিলায় কী কী করেছেন তা তুলে ধরলেন। তবে মন্ত্রীর পরিদর্শনের পরেও ক্ষোভ রয়ে গেল ভাঙন বিধ্বস্ত মানুষগুলোর মধ্যে।
সোমবার মানিকচক ব্লকের ভূতনি এবং রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের মহানন্দটোলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা পরিদর্শনে যান রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য সভার সাংসদ মৌসম নূর, জেলাশাসক নিতীন সিংহানিয়া সহ অন্যান্যরা। স্থানীয় বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রকে নিয়ে ভূতনি এলাকা পরিদর্শনে করে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন সেচ মন্ত্রী। পরে লঞ্চে করে কান্তটোলা যান তিনি।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সেচমন্ত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে করছি। গতকাল মুর্শিদাবাদের পর আজ মালদার মানিকচক ও রতুয়ার পরিস্থিতি দেখলাম। ২০১৪ সাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গে ভাঙন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে পয়সা দেয় না। মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন পরিকল্পনা করছেন। আমরা ভাঙন বিধ্বস্ত মানুষকে রক্ষা করার চেষ্টা করছি। বিজেপির মন্ত্রী আর সাংসদরা বলছেন, রাজ্য নাকি কেন্দ্রকে প্রস্তাব পাঠায়নি৷ অথচ মুখ্যমন্ত্রী বারবার চিঠি দিয়েছেন৷ প্রধানমন্ত্রীর থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ আর নদী ভাঙন নিয়ে আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৪ সাল থেকে কিছুই দেয়নি।
ভাঙন কবলিত এক মহিলা শেফালি মণ্ডল জানান, আমরা শুধু স্থায়ীভাবে গঙ্গা পাড় বাঁধা চাইছি। গঙ্গা ভাঙন আটকাতে নাকি ১৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। বাঁশের খাঁচা দিয়ে নদী বাঁধা হল৷ তাতে কোনও কাজ হয়নি। সবই জলে চলে গিয়েছে। সঙ্গে জলে তলিয়েছে বড়ো বড়ো বাড়ি।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments