ছাব্বিশের লক্ষ্য নিয়ে মালদায় মীনাক্ষী
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
- Sep 5
- 1 min read
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে রূপরেখা তৈরি করে ময়দানে নেমে পড়েছে সিপিআইএম। সেই নীল নকশা মোতাবেক বৃহস্পতিবার মালদা জেলার তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে দীর্ঘক্ষণ সময় দিয়েছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। নির্বাচনি কৌশল নিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তবে এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
সিপিআইএম দলীয়ভাবে মালদা জেলার তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব ভার তুলে দিয়েছে মীনাক্ষীর কাঁধে। মানিকচক, চাঁচল ও হরিশ্চন্দ্রপুর তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রেই তৃণমূল জয়ী হয়েছিল। সেখান থেকে জন সমর্থনকে ঘুরিয়ে আনতে মীনাক্ষীর ওপরেই ভরসা রেখেছে সিপিআইএম নেতৃত্বরা।
গতকাল মানিকচকে দলের বুথ লেভেল এজেন্টদের নিয়ে একটি কর্মশালা করেন মীনাক্ষী৷ ওই কর্মশালায় বাইরের কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এমনকি যারা ভেতরে গিয়েছিলেন তাঁদেরও মোবাইল ফোন বাইরে জমা রেখে ভেতরে ঢুকতে হয়েছিল। তবে সূত্রের খবর, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাখির চোখ করে ময়দানে নামতে চলেছে বামফ্রন্ট। পরিযায়ী শ্রমিকদের ভোট দলীয় ভোট বাক্সের দিকে নিয়ে আসার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে শাসকদলের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার নীল নকশাও তৈরি করে দিয়েছেন নেত্রী।

গতকাল কলকাতা ফিরে যাওয়ার পথে এসআইআর প্রসঙ্গে মীনাক্ষী বলেন, এসআইআর সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত৷ ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার বাতিল করা, নতুন নাম সংযোজন কিংবা সংশোধনের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ারভুক্ত৷ সেই তালিকায় ভুল থাকলে তার দায় কমিশনের৷ তাছাড়া নাগরিকত্ব যাচাইয়ের কোনও অধিকার নির্বাচন কমিশনের নেই৷ তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার এই দায়িত্ব কমিশনকে কেন দিল? অমিত শাহ প্রতিটি রাজ্যে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির বিষয়ে যে মন্তব্য করেছেন, সেটা তাঁর মাতব্বরি ফলানোর চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়৷ ভোটবাক্সে মানুষ এর জবাব দেবে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন