পঞ্চায়েত প্রার্থীকে খুনের হুমকি, অভিযোগ দলের লোকের বিরুদ্ধেই
top of page

পঞ্চায়েত প্রার্থীকে খুনের হুমকি, অভিযোগ দলের লোকের বিরুদ্ধেই

পুরোনো বিবাদের জেরে খুনের হুমকি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মানিকচকে তৃণমূলের এক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থীকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ শাসকদলেরই পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীর বিরুদ্ধে৷ পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী৷ তবে এই ঘটনায় মানিকচক ব্লক তৃণমূল সভানেত্রীর কোনো বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি৷


গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রার্থী সাহজাহান শেখ


গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭ নম্বর বুথে এবার তৃণমূলের প্রার্থী সাহজাহান শেখ৷ বয়স ৪৫ বছর৷ বাড়ি মানিকচক থানার জেসারতটোলা গ্রামে৷ আগে তিনি ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজকর্ম দেখাশোনা করতেন৷ তিনি বলেন, সেই সময় পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজে প্রচুর টাকা তছরুপ করেছিল তখনকার কিছু সিপিএম নেতা-কর্মী৷ তাদের সঙ্গ দিয়েছিল পঞ্চায়েতের সুপারভাইজারও৷ এনিয়ে তিনি মহম্মদ সাইফুদ্দিন, পিন্টু শেখ, রাহুল শেখ, বাদশাহ শেখ, নাসির শেখ, আসরাফুল শেখ সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷ এই ঘটনার ফলস্বরূপ সাহজাহান শেখকে গুলি করে তারা৷ গত বছর ২৬ মার্চ রাত ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন৷ সেই সময় মহম্মদ সাইফুদ্দিন তাঁর পিঠে গুলি করে৷ তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান৷ স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান৷ গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে রেফার করে দেওয়ার পরে তাঁকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে এলে, সেখানে পিঠ থেকে গুলি বের করা হয়৷ এদিকে ঘটনার দিনই মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর দাদা মোজাহার শেখ৷ সেই মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে মানিকচক থানার পুলিশ চার্জশিটও তৈরি করে৷ বর্তমানে সেই মামলা আদালতে বিচারাধীন৷

সাহজাহান শেখের অভিযোগ, তখনকার সেইসব সিপিএমের হার্মাদরা এখন তৃণমূলের নেতা৷ মহম্মদ সাইফুদ্দিন এবার পঞ্চায়েত সমিতিতে শাসকদলের প্রার্থী হয়েছে৷ এই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তারা তাঁদের সব সময় চাপ সৃষ্টি করছে৷ তাঁকে সহ অন্যান্য সাক্ষীদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে৷ তাদের ভয়ে মামলার সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত হতে পারছে না৷ এর আগে আদালত থেকে দুটি নোটিশ পাঠানো হলেও আসামীদের ভয়ে সাক্ষীরা আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসতে পারেনি৷ আগামী ২৬ এপ্রিল ফের এই মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য হয়েছে৷ সেদিন সাক্ষীরা যাতে আদালতে উপস্থিত হতে পারে তার জন্য তাঁরা মানিকচক থানার পুলিশের নিরাপত্তা চান৷ সেব্যাপারেই তিনি পুলিশ সুপারকে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন৷ সাহজাহান বলেন, তিনি গোটা ঘটনাটি ব্লক তণমূল সভানেত্রী সাবিত্রী মিত্র সহ অন্যান্য নেতৃত্বকেও জানিয়েছেন৷ কিন্তু দলীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে তিনি কোনও সহায়তা পাচ্ছেন না৷ এই অবস্থায় পুলিশি নিরাপত্তাই তাঁদের প্রাণে বাঁচাতে পারে৷ তিনি প্রকৃত বিচার পেতে পারেন৷

ওই এলাকার জেলা পরিষদ সদস্য তথা জেলা পরিষদের বিদায়ি সহকারী সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল জানিয়েছেন, তিনি মানিকচক ব্লকের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দায়িত্বে রয়েছেন৷ গোপালপুর কিংবা ধরমপুরের সমস্ত বিষয় দেখেন ব্লক তৃণমূল সভানেত্রী৷ তাই এব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না৷ এদিন সাবিত্রী মিত্রের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি৷ তিনি ফোন ধরেননি৷ তবে শাসকদলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে একই দলের আরেক প্রার্থীর অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

ছবিঃ কৃতাঙ্ক


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page