৭৫ ধরনের আম রফতানি হবে বিদেশে, সমৃদ্ধ অর্থনীতির আশা মালদায়
top of page

৭৫ ধরনের আম রফতানি হবে বিদেশে, সমৃদ্ধ অর্থনীতির আশা মালদায়

ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উদ্‌যাপন করছে সারা দেশ। এই উদ্‌যাপনের অঙ্গ হিসেবে এই প্রথম ৭৫টি প্রজাতির আম বিদেশে রফতানির পরিকল্পনা নিয়েছে অ্যাপেডা (এপিইডিএ)। কেন্দ্রীয় এই সংস্থার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন সামগ্রী বিদেশে রফতানি করা হয়। গত বছর অ্যাপেডার মাধ্যমেই মালদা ও মুর্শিদাবাদের ৩৪টি প্রজাতির আম বিদেশে রফতানি করা হয়েছিল। তবে এবছর রফতানিকারক ৭৫ ধরনের আমের মধ্যে মালদা ও মুর্শিদাবাদের বেশিরভাগ আম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।


75 types of mangoes will be exported abroad, hope for prosperous economy in Malda
প্রতীকী ছবি। সৌজন্যে: পিক্স অ্যাবে।

উদ্যানপালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে,

জিআই ট্যাগপ্রাপ্ত ফজলি, হিমসাগর ও লক্ষণভোগ এই তিন প্রজাতির আম বিদেশে অবশ্যই পাঠানো হবে। পাশাপাশি মালদা জেলার বিখ্যাত গোপালভোগ, আলতাপেটি, বৃন্দাবনি, ল্যাংড়া, আশ্বিনা, রাখালভোগ, কিসানভোগ, ফুলিয়া, আম্রপালি, মল্লিকা, মোহনভোগ, তোতাপুরী, মধুচুষকী, অমৃতভোগ, রাণী পসন্দ, ডালভাঙা, দিলখুস, মোহনঠাকুর, গোলিয়া সহ অন্যান্য বেশ কিছু আম পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এনিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।


উল্লেখ্য, চলতি মরশুমে এখন পর্যন্ত আম চাষের জন্য আবহাওয়া অনুকূল রয়েছে। প্রাকৃতিক কোনও বিপর্যয় না হলে জেলায় রেকর্ড পরিমাণ আম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মরশুমের শুরু থেকেই আম বিদেশে রফতানি করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে উদ্যানপালন দফতরের পক্ষ থেকে। জেলায় প্রচুর আম উৎপাদন হলেও কৃষকেরা সঠিক পরিচর্যা অনেক সময় করে থাকেন না। যার ফলে বিদেশের বাজারে সে আমগুলির তেমন চাহিদাও থাকে না। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে জেলার আম চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি কলকাতার রফতানিকারকদের সঙ্গে চাষিদের প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনাও হয়েছে। সমস্ত কিছু ঠিক থাকলে দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতাকে স্মরণীয় করে রাখতে এবছর বাংলার ৭৫টি প্রজাতির আম বিদেশ যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সংস্থার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আগামী দিনে আমের মধ্য দিয়ে জেলার অর্থনীতি অনেকটা সমৃদ্ধ হবে।



আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page