ক্লাসরুমে বন্দুক উঁচিয়ে ব্যক্তি, আতঙ্কে জবুথবু পড়ুয়ারা, ঝাঁপিয়ে পড়লেন ডিএসপি
top of page

ক্লাসরুমে বন্দুক উঁচিয়ে ব্যক্তি, আতঙ্কে জবুথবু পড়ুয়ারা, ঝাঁপিয়ে পড়লেন ডিএসপি

মুচিয়া চন্দ্রমোহন হাইস্কুলের ক্লাসরুমে বন্দুক, পেট্রোল বোমা হাতে এক ব্যক্তি হুমকি দিচ্ছেন। আতঙ্কে জবুথবু হয়ে বসে আছে পড়ুয়ারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মালদা থানার পুলিশ। ছুটে আসেন ডিএসপি ডিঅ্যান্ডটি আজহারউদ্দীন খানও। হিরোর মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে ওই ব্যক্তিকে নিরস্ত্র করেন ডিএসপি। পরে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে। বন্দুক, বোমা নিয়ে কীভাবে একজন ব্যক্তি স্কুলে প্রবেশ করল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।


man-raised-gun-in-classroom-students-panicked-DSP-jumped
স্কুলে হঠাৎ এক ব্যক্তিকে বন্দুক হাতে দেখা যায়। সংবাদ চিত্র।

আজ দুপুরে পুরাতন মালদার মুচিয়া চন্দ্রমোহন হাইস্কুলে হঠাৎ এক ব্যক্তিকে বন্দুক হাতে দেখা যায়। ক্লাসরুমের টেবিলে দুটি বোতল রাখা। পড়ুয়ারা ক্লাসরুমে আতঙ্কে বসে রয়েছে। ওই ব্যক্তি বন্দুক হাতেই হুমকি দিচ্ছে, আমার কাছে ৯ মিলিমিটারের পিস্তল রয়েছে, দুটি ম্যাগাজিন রয়েছে। দুটিতেই গুলি লোড করা হয়েছে। বোতলে পেট্রোল রয়েছে, ব্যাগে একটা ইলেকট্রনিক বোমা রয়েছে। এর আগেও আমি পিস্তল হাতে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমার অপহৃত ছেলের মীমাংসা করে দিতে বলেছি। পুলিশ সেই সময় আশ্বাস দেয়। কিন্তু তারপরে ছেলেকে না এনে উলটে আমাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।


এদিকে, খবর পেয়ে ওই স্কুলে ছুটে যায় ডিএসপি ডিএনটি আজহারউদ্দীন খান ও মালদা থানার আইসি হীরক বিশ্বাস সহ বিশাল পুলিশবাহিনী। সুযোগ বুঝে ওই ব্যক্তির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন ডিএসপি। গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। ধৃতের নাম দেব বল্লভ। জানা গিয়েছে, ধৃতের স্ত্রী রীতা বল্লভ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে পুরাতন মালদা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন৷ কিন্তু বছরখানেক ধরে তাঁর কোনও খোঁজ নেই৷ মায়ের সঙ্গেই নিখোঁজ তার একমাত্র ছেলে রুদ্র৷ স্ত্রী ও ছেলের খোঁজে এক বছর ধরে চেষ্টা করে চলেছেন তিনি৷ সফল হননি৷ মনে করা হচ্ছে, স্ত্রী-সন্তানকে খুঁজে পেতে প্রশাসনের উপর চাপ বাড়াতেই তিনি এই কাজ করেছেন৷



পুলিশসুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তার হেফাজত থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷ একটি ব্যাগও উদ্ধার করা হয়েছে৷ তবে ওই ব্যাগে কতগুলি বোমা ছিল, তা এখনও আমরা পরীক্ষা করে দেখিনি৷ শিক্ষক ও পড়ুয়ারা সবাই নিরাপদে৷ প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, ওই ব্যক্তির পারিবারিক কিছু সমস্যা রয়েছে৷ এর আগে ফেসবুকে বেআইনি পোস্ট করার দায়ে তাঁকে ধরাও হয়েছিল৷ এই ঘটনা নিয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page