আসন ১২টি কিন্তু নেতা মালদায় ১০ ডজন: মমতা
মালদায় আজ অবধি তৃণমূল দল লোকসভা ভোটে কোনও সিট পায় নি। এই আক্ষেপের সুর স্পষ্ট শোনা গেল সর্বভারতীয় তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। অথচ প্রত্যেক নির্বাচনের আগে মালদা এসে তিনি তিন-চারদিন থাকেন এবং এই জেলা থেকেই তিনি উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মুর্শিদাবাদে প্রচার করেন। এদিন পুরাতন মালদার ছোটো সুজাপুরে আয়োজিত তৃণমূলের কর্মীসম্মেলনে নির্বাচনে এই ব্যর্থতার দায় চাপালেন জেলার নেতাদের উপরে। দলের মধ্যে মতবিরোধ এর জন্য যে দায়ী তা জানাতেও দ্বিধা করেন নি।
এত ঝগড়া করো কেন? এই সভা থেকে মালদা জেলাপরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডলকে ধমকের সুরে বললেন মমতা ব্যানার্জি। প্রাক্তন বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের সাথে মতান্তরের কথা যে তাঁর কানে এসেও পৌঁছয় তা জানিয়ে গেলেন তিনি। কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরিকে জেলার দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেন। তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয় হবিবপুর ও গাজোলের। সাবিত্রী মিত্রকে শুধুমাত্র মানিকচকে প্রচার করতে বলা হয়। সাবিত্রী মিত্রকে এই কাজে সহযোগিতা করবেন জেলাপরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল। দুলাল সরকারকে ইংরেজবাজার পুরসভার বাইরে বেরিয়ে জেলার নেতা হতে নির্দেশ দেন। তাঁর কাঁধে দেওয়া হয় ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদার দায়িত্ব। নজরুল হককে মোথাবাড়ির দায়িত্ব। মোহম্মদ ইয়াসিনকে রতুয়া।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সর্বভারতীয় তৃণমূল সভানেত্রী
জেলায় আসন ১২টি কিন্তু নেতা আছেন ১০ ডজন। এখানে ১০ ডজন নেতা থাকা সত্ত্বেও এক ডজন সিট কেন বাগে আনা যায় না সেই আক্ষেপও শোনা গেল তাঁর গলায়।
Comments