top of page

ধর্ষণের অভিযোগ থানায় দায়ের করায় ধর্ষিতার স্বামীকে খুন করল ধর্ষক

প্রথমে গৃহবধূকে ধর্ষণ, পরে ধর্ষণের অভিযোগ থানায় দায়ের করায় ধর্ষিতার স্বামীকে খুন করল ধর্ষক। ঘটনায় উদ্ধার হয়েছে স্বামীর ক্ষতবিক্ষত দেহ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদার ভূতনী থানার হীরানন্দপুরের নন্দীটোলা গ্রামে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে ভূতনী থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে ধর্ষিতা গৃহবধূর এক ভাই থাকলেও মূল অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।


ধর্ষিতার পরিবার সূত্রে খবর, প্রায় ৬ বছর আগে ওই গ্রামের অবিবাহিতা এক যুবতিকে ধর্ষণ করে গ্রামেরই সিদ্ধার্থ মণ্ডল নামে এক যুবক। ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরবর্তীকালে ভবানীপুর গ্রামের যুবক দুলাল মণ্ডল ধর্ষিতা ওই যুবতীকে বিবাহ করেন। বিয়ের পরই স্ত্রীর প্রতি সুবিচারের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন দুলাল মণ্ডল। সেই মামলা এখনও মালদা জেলা আদালতে বিচারাধীন। এদিকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য সিদ্ধার্থ ও তার লোকজন দুলালকে প্রাণে মারার হুমকি দিতে থাকে। যার পরিণতি ঘটল ধর্ষিতার স্বামীর ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধারে।



গত কয়েকদিন আগে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যান দুলাল। শুক্রবার সন্ধ্যায় দুলাল তাঁর শ্যালক রাজকুমার চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় নন্দুটোলা বাজারে জুতো কিনতে যান। কিছুক্ষণ পরেই শ্যালক রাজকুমার একাই বাড়ি ফিরে এসে জানায়, জুতো কিনে বাড়ি ফেরার পথে সিদ্ধার্থ মণ্ডল ও তার সঙ্গী কৃষ্ণ চৌধুরী তাঁদের পথ আটকায় এবং দুলালকে বেধড়ক মারধর করে টানতে টানতে দুলালকে একটি বাগানে নিয়ে যাওয়া হয়। সুযোগ বুঝে সেখান থেকে পালিয়ে যায় শ্যালক রাজকুমার। পরিবারের লোকজনকে রাজকুমার জানায়, দুলালকে হয়তো খুন করতে পারে সিদ্ধার্থ মণ্ডল ও তার দলবল। রাতভর খোঁজাখুঁজি করেও দুলালকে পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ভূতনী থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন দুলালের পরিবারের সদস্যরা। তাছাড়া দুলালকে ছেড়ে পালিয়ে আসা শ্যালক রাজকুমারের বিরুদ্ধেও পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন দুলালের পরিবার। কারণ, রাজকুমারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সিদ্ধার্থ ও কৃষ্ণ। রবিবার সকালে ভূতনী থানার পুলিশ স্থানীয় নদী থেকে দুলালের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহে একাধিক অস্ত্রের আঘাত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মৃতদেহটি ময়নাতন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজকুমার চৌধুরি ও কৃষ্ণ চৌধুরিকে গ্রেপ্তার করেছে ভূতনী থানার পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত সিদ্ধার্থ মণ্ডল এখনও পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে ভূতনী থানার পুলিশ।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page