আমাকে প্রতিদিন ধর্ষণ করছে, ফোনে আকুতি যুবতির
top of page

আমাকে প্রতিদিন ধর্ষণ করছে, ফোনে আকুতি যুবতির

চিকিৎসার জন্য কলকাতায় পাড়ি দিয়েছিলেন বছর কুড়ির এক যুবতি৷ কিন্তু শিয়ালদা স্টেশন থেকেই অপহৃত হয়ে যান তিনি৷ এখন তাঁর ঠাঁই হয়েছে বিহারের এক পতিতাপল্লিতে৷ এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরাতন মালদার জলঙ্গা গ্রামে৷ গোটা ঘটনায় মালদা থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে ওই যুবতির পরিবার৷ অভিযোগ, মালদা থানার পুলিশ ওই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করছে না৷



ওই যুবতির বোনের অভিযোগ, তাঁর দিদির বাম পায়ে একটি ক্ষত তৈরি হয়েছিল৷ মালদায় চিকিৎসা করানো হলেও তাঁর ক্ষত সারছিল না৷ সেই কারণে তিনি কলকাতায় পিজি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যেতেন৷ দু’বার তিনি নিজেই কলকাতা যান৷ চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন৷ গত ১ নভেম্বর তিনি ফের কলকাতা গিয়েছিলেন৷ কিন্তু আর তিনি বাড়ি ফিরে আসেননি৷ নিখোঁজ যুবতির দাদা বলেন, বোনের হদিস পেতে তিনি ফেসবুকে তার ছবি দিয়ে পোস্ট করেন৷ এভাবেই কাটতে থাকে দিন৷ কয়েকদিন আগে ওই যুবতি তাঁর কাকার মোবাইল ফোনে ফোন করে জানান, তাঁকে কলকাতা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিহারের পাটনা সংলগ্ন পাঞ্জিপাড়া নামে এক জায়গায় এক পতিতাপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে৷ এই খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন বিচলিত হয়ে পড়েন৷ কী করবেন সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না তাঁরা৷ এর মধ্যে ওই যুবতি আরও দুবার তাঁর কাকাকে ফোন করে তাঁকে উদ্ধারের আর্জি জানান৷ এরপরেই পরিবারের লোকজন ৪ দিন আগে মালদা থানায় গোটা ঘটনা জানিয়ে লিখিতভাবে ওই যুবতিকে উদ্ধারের আর্জি জানায়৷ কিন্তু যুবতির দাদার অভিযোগ, মালদা থানার পুলিশ তাঁদের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করছে না৷ উলটে ঘরের মেয়েকে উদ্ধারের জন্য তাঁদেরই চাপ দিচ্ছে৷ এই অবস্থায় তাঁরা বাংলা সাংস্কৃতিক মঞ্চ নামে একটি সংগঠনের দ্বারস্থ হন৷

বাংলা সাংস্কৃতিক মঞ্চের পক্ষে মহম্মদ নজিবুর রহমান বলেন, তাঁরা জানতে পেরেছেন ওই যুবতিকে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করা হচ্ছে৷ তিনি সেখান থেকে উদ্ধার পেতে চান৷ এনিয়ে মালদা থানায় মেয়েটির পরিবার লিখিত অভিযোগও জানিয়েছে৷ তাঁরা এনিয়ে মালদা থানার আইসির সঙ্গে কথা বলেছেন৷ আইসি তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন, দ্রুত ওই যুবতিকে উদ্ধার করতে তাঁরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন৷ মঞ্চের আরেক সদস্য শ্যাম মণ্ডল বলেন, মেয়েটির মা-বাবা বেঁচে নেই৷ তাঁর অভিভাবক বলতে সৎ দাদা৷ সেই দাদা যখন দেখেন, ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও কলকাতা থেকে বোন ঘরে ফিরে আসছেন না, তখনই তাঁদের বাড়িতে একটি ফোন আসে৷ সেই ফোনে মেয়েটি জানান, তাঁকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে৷ তাঁকে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করা হচ্ছে৷ তাঁদের ধারনা, মেয়েটিকে কোনও পতিতালয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে৷ আইসি তাঁদের কথা দিয়েছেন, মেয়েটিকে দ্রুত উদ্ধার করা হবে৷ তাঁরা আইসির কথার উপর ভরসা রাখছেন৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page