নেই উন্নত প্রযুক্তির ভাটা, তীব্র গরমে জেরবার মৃৎশিল্পীরা
top of page

নেই উন্নত প্রযুক্তির ভাটা, তীব্র গরমে জেরবার মৃৎশিল্পীরা

উন্নতি প্রযুক্তির ভাটা না থাকার ফলে মাটির তৈরি জিনিসপত্রের কাজ করতে চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছেন শিল্পীরা। শিল্পীদের অভিযোগ, জেলা প্রশাসন থেকে ২০টি ভাটা করে দেওয়ার কথা থাকলেও মাত্র দুটি ভাটার কাজ শুরু হয়েছে। সেই দুটি ভাটাও এখনও পুরোপুরি তৈরি হয়নি। ফলে অস্থায়ীভাবে ভাটা তৈরি করে সেখানে মাটির তৈরি জিনিসপত্র পোড়ানো হচ্ছে। এই গরমে অস্থায়ী ভাটায় কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন শিল্পীরা।


গাজোলের রানীগঞ্জ-১ অঞ্চলের শিমুলঝুড়ি এলাকার প্রায় দেড়শোটি পরিবার মাটির কাজ করেন। কয়েক দশক ধরে সাবেকি পদ্ধতিতেই মাটির বাসনপত্র তৈরি করছেন এখানকার মৃৎশিল্পীরা। এ রাজ্যের পাশাপাশি উড়িষ্যা, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু সহ বিভিন্ন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে গাজোলের শিল্পীদের তৈরি নানা মাটির সামগ্রী। তবে এই শিল্পীদের মাটির জিনিস পোড়ানোর জন্য উন্নত প্রযুক্তির সরকারি ভাটা না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে শিল্পীদের। সরকার থেকে কুড়িটি ভাটা করার কথা হলেও এখন তা তৈরি হয়নি। দুটি ভাটার কাজ শুরু হলেও এখনও সেই কাজ শেষ হয়নি। তবে গত দুর্গাপুজোর সময় জেলা শিল্পকেন্দ্র থেকে এই মৃৎশিল্পীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পটার্স হুইল, স্বয়ংক্রিয় মাটি মাখার মেশিন, রং করার মেশিন ইত্যাদি।



মালদা জেলা শিল্পকেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার মানবেন্দ্র মণ্ডল জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাজোলের শিমুলঝুড়ি এলাকার মাটি শিল্পীদের প্রশিক্ষণ ও অত্যাধুনিক যন্ত্রচালিত টুলস কিটস দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে। শিল্পীদের হাতেকলমে সিরামিকের কাজও শেখানো হয়েছে। সরকারিভাবে ২০টি ভাটা তৈরির প্রস্তাব রয়েছে। তবে এনআরইজিএস প্রকল্পের টাকার অভাবে কাজ হয়নি। দুটি ভাটা আংশিক তৈরি হয়েছে। সেই ভাটাগুলোর কাজ শীঘ্রই শেষ হবে।




আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page