এবার বিদেশে পাড়ি দেবে মালদার লিচু
আমের পর এবার মালদার লিচু পাড়ি দিতে চলেছে বিদেশে। ইতিমধ্যেই ভূমধ্যসাগরীয় বেশ কিছু দেশের সঙ্গে ইউরোপের কয়েকটি দেশ থেকেও লিচু রফতানির বরাত এসেছে। আমের পর জেলার লিচু বিদেশে রফতানি শুরু হলে এই জেলার অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন চাষি-ব্যবসায়ীরা।
জেলা উদ্যানপালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদা জেলায় ১ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়। সবচেয়ে বেশি লিচু চাষ হয় কালিয়াচকের তিনটি ব্লকে। প্রতি বছর গড়ে ১৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন লিচু উৎপাদন হয় জেলায়। তবে এবছর রেকর্ড পরিমাণ লিচু উৎপাদন হতে পারে বলে মনে করছেন দফতরের আধিকারিকরা।
জেলা উদ্যানপালন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর সামন্ত লায়েক জানান,
মালদা জেলায় আমের পরেই লিচুর স্থান। বোম্বাই জাতের লিচু অত্যন্ত উন্নতমানের। এই লিচুতে শাঁস অনেক বেশি থাকে আর রসে ভরপুর। বাজারে এই লিচুর খুব ভাল চাহিদা রয়েছে। এবছর লিচু চাষের ক্ষেত্রে আবহাওয়া অনুকূল ছিল৷ সেই কারণেই আমের সঙ্গে জেলার লিচুও বিদেশে রফতানির জন্য চেষ্টা করা হচ্ছিল। ইতিমধ্যে কাতার, বাহারিনের মতো ভূমধ্যসাগরীয় কয়েকটি দেশ এবং ইতালি, জার্মানির মতো কয়েকটি ইউরোপিয়ান দেশ থেকে ৫-৬ মেট্রিক টন লিচুর বরাত এসেছে। রফতানিকারকদের সঙ্গে কথা বলে বিদেশে লিচু রফতানির চেষ্টা চালানো হচ্ছে। জেলা প্রশাসন এবং কেন্দ্রীয় সংস্থা, সিআইএসএইচও এই কাজে সহযোগিতা করছে৷
![Malda-litchi-move-to-exported-abroad](https://static.wixstatic.com/media/73f23a_6d97408390634c53826f9a05b88f725d~mv2.jpg/v1/fill/w_137,h_93,al_c,q_80,usm_0.66_1.00_0.01,blur_2,enc_auto/73f23a_6d97408390634c53826f9a05b88f725d~mv2.jpg)
কালিয়াচকের লিচু চাষি মঞ্জুর মোমিন জানান, তিনি ৪০ বছর ধরে লিচু চাষ করছেন। অনেক মানুষ এই চাষের সঙ্গে জড়িত। এখনও তাঁরা ভিনরাজ্যে লিচু বিক্রি করতে পারেননি। তবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেছেন। এই মরশুমে লিচুর খুব ভাল ফলন হয়েছে। এবার এই লিচু বিদেশে যাবে বলে শুনছেন তাঁরা। তবে এখনও সরকারের তরফে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি।
মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি জয়ন্ত কুণ্ডু জানান, যদি প্রথমবার ঠিকমতো বিদেশে লিচু পাঠানো যায়, তবে জেলার পাশাপাশি রাজ্যও অর্থনীতিতে লাভবান হবে৷ গত কয়কবছরে আবহাওয়া আর করোনার জন্য যে সব চাষি লিচু চাষে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছিলেন, তাঁরাও ফের উৎসাহিত হবেন। তবে এর জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যের সহযোগিতা প্রয়োজন।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন