বাংলাদেশে পণ্য পাঠানো বন্ধ করে দিলেন মহদীপুরের এক্সপোর্টার্সরা
top of page

বাংলাদেশে পণ্য পাঠানো বন্ধ করে দিলেন মহদীপুরের এক্সপোর্টার্সরা

শুল্ক দফতরের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া সহ একাধিক অভিযোগ তুলে মহদীপুর আন্তর্জাতিক স্থল বাণিজ্য বন্দর দিয়ে রফতানি বন্ধ করল রফতানিকারকরা। শুল্ক দফতরের কর্তাদের পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত রফতানি বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে মহদীপুর এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন। যদিও রফতানিকারকদের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন শুল্ক দফতরের কর্তারা।



উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশ জুড়ে লকডাউন জারি হওয়ার কয়েকদিন আগে থেকেই দেশের সমস্ত সীমান্ত বন্ধ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সময় ধরে প্রায় দু’মাস বন্ধ হয়ে পড়েছিল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য। রফতানিকারকদের বারবার দাবির পরে শর্তসাপেক্ষে শুরু হয় মহদীপুর সীমান্তে রফতানি। এবারে রফতানিকারকরা শুল্ক দফতরের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া সহ একাধিক অভিযোগে ফের বাংলাদেশে পণ্য পাঠানো বন্ধ করল।



মহদীপুর এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি মোহম্মদ ফজলুল হক জানান,


কাস্টমসের কর্মীরা অনৈতিক কাজ করছে। তার প্রভাব পড়ছে বাণিজ্যে। কখনও বলা হচ্ছে স্টাফ নেই, কখনও বিদ্যুৎ নেই। এমনকি দফতরের কর্মীরা মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করছেন। দফতরের এই কর্মকাণ্ডে দিনে ১৫০টির বেশি লরি বাংলাদেশে পাঠানো যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে রফতানিকারকরা ডিটেইশন চার্জ দিতে দিতে লোকসানে পড়ছে। এসবের বিরুদ্ধে রফতানিকারকরা আন্দোলনে সামিল হয়ে রফতানি বন্ধ করেছে।



মহদীপুরের সুপারিন্টেনডেন্ট অফ কাস্টমস দেবাশিস চক্রবর্তী জানান, রফতানিকারকদের অভিযোগ তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তবে বাণিজ্য যথারীতি চলবে। লোডশেডিং হলে দফতরের কর্মীদের কিছু করার থাকে না। এতে রফতানিকারকদের পাশাপাশি দফতরের কর্মীদেরও সমস্যায় পড়তে হয়। তবে দফতরের কর্মীদের বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করা ও ঘুষ নেওয়া প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page