বাম-কংগ্রেস ভাগাভাগিতে অগ্রাধিকার পাবে প্রথম দুই প্রার্থী
সামনে পুরসভা নির্বাচন। প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জোরকদমে। শাসকদলের পাশাপাশি বিরোধীরাও নেমে পড়েছে ময়দানে। আসন্ন পুর নির্বাচনে সারা রাজ্যে বাম কংগ্রেস আসন সমঝোতা করে লড়াইয়ে নামছে। গত বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনেও বাম-কংগ্রেস জোট হয়ে লড়াই করেছিল। এই পুরসভা নির্বাচনেও সেই ছবিই উঠে আসতে চলেছে।
তবে এখনও পুরসভা নির্বাচনের আসন সমঝোতা করে উঠতে পারেনি দুই শিবির। পাশাপাশি দলীয় প্রতীকে জেতার পর শাসকদলে নাম লেখাচ্ছেন অনেকেই। আসন্ন পুর নির্বাচনের পরে দলবদলের খেলা চলতে পারে সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না বাম-কংগ্রেস শিবির।
অম্বর মিত্র, সিপিএমের জেলা সম্পাদক
রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভাতে বাম-কংগ্রেস লড়াই করবে৷ মালদা জেলার দুই পুরসভার ক্ষেত্রে যেখানে যে জয়ী সেখানে তার অগ্রাধিকার, অথবা দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে৷ সেই নিয়মে আসন বণ্টন করা হবে। ২০১৫ সালের নির্বাচনী ফলাফল দেখেই আসন বণ্টন হবে৷ তবে পুর নির্বাচনের পরেও যে কেউ দল বদল করবে না তার গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না। তবু যাঁরা ছোটো থেকে বামদল করে, তাঁরা একটা নীতি ও আদর্শ মেনে চলে।
কালীসাধন রায়, জেলা কংগ্রেসের সহসভাপতি
পুর নির্বাচনে বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট গড়তে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে৷ কংগ্রেস কোন আসনগুলিতে লড়তে চায়, আর কোনটায় লড়তে চায় না, তা বাম নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে৷ বাম নেতৃত্বেও জানিয়েছে, বামফ্রন্ট কোন কোন আসন কংগ্রেসকে ছাড়তে পারবে৷ এনিয়ে আলোচনা চলছে। বাম-কংগ্রেসের টিকিটে জেতা কাউন্সিলরদের দলে ধরে রাখা যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে সাধারণ কর্মীরা কিন্তু কেউ দলত্যাগ করেননি৷ যাঁরা দলকে ব্যবহার করে খ্যাতি, প্রতিপত্তি, প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন, তাঁরাই দলত্যাগ করেছেন৷ আসন্ন পুরভোটে যাঁরা নির্বাচিত হবেন, তাঁদের সবাইকে ধরে রাখার গ্যারান্টি দেওয়ার দুঃসাহস নেই।
Comments