জল ঢুকছে গ্রামে, চরম বিপদসীমা ছাড়িয়ে বেড়েই চলেছে গঙ্গা
জলের চাপে ভাঙল ভূতনি চরের কেশরপুরের বাঁধের প্রায় ৪০ মিটার অংশ। রাত থেকেই বাঁধ কাজে নেমেছে সেচ দফতরের কর্মীরা। স্থানীয়দের আশঙ্কা বাঁধ ভাঙার ফলে যে-কোনও মুহূর্তে প্লাবিত হতে পারে ভূতনি চরের বিস্তীর্ণ এলাকা।
গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বেড়ে চলেছে গঙ্গার জলস্তর। আজ সকালে চরম বিপদসীমা (২৫.৩০ মিটার) থেকে ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বয়েছে গঙ্গা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জলের চাপে গতকাল রাতেই কেশরপুরের গঙ্গা বাঁধের প্রায় ৪০ মিটার কেটে যায়। ভাঙা বাঁধে অংশ দিয়ে জল ঢুকতে শুরু করে গ্রামের দিকে। কেশরপুরের ভাঙা বাঁধের প্রায় ৫০০ মিটার দূরে আরও একটি বাঁধ রয়েছে। আপাতত সেই বাঁধে আটকে গঙ্গার জল। তবে স্থানীয়দের দাবি, ওই বাঁধের অবস্থা ভালো নয়। যে-কোনও মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে পুরো এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
স্থানীয় এক বাসিন্দার দাবি, গতকাল রাতে বাঁধের অনেকটা অংশ ভেঙে গিয়েছে। জল গ্রামের দিকে ঢুকতে শুরু করেছে রাত থেকেই। ওই বাঁধের আরেকটি পুরোনো বাঁধ থাকলেও, সেই বাঁধের অবস্থা খুবই খারাপ। যে-কোনও মুহূর্তে সেই বাঁধ ভেঙে পুরো এলাকা জলে তলিয়ে যেতে পারে। সেচ দফতর খুব ধীরগতিতে বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করেছে।
সেচ দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রণবকুমার সামন্ত জানান, গতকাল রাতে হঠাৎ বাঁধের এই অংশটি জলের চাপে ভেঙে গিয়েছে। নদীর জল এখন পুরোনো বাঁধের গায়ে লেগে রয়েছে। সেই বাঁধ রক্ষা করার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হয়েছে।
[ আরও খবরঃ তৃতীয় ঢেউয়ের মুখে হেলথ ভলান্টিয়ার তৈরি করছে বিজেপি ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
टिप्पणियां