top of page

পাশের দোকানের ফ্রিজে গচ্ছিত অঙ্গনওয়াড়ির ডিম

গ্রামবাসীরা এদিন বাধাপুকুর কমলাবাড়ি গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি (৪১২) কেন্দ্রটি প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ঘেরাও করে রাখে। তাঁদের অভিযোগ এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের চাল, ডিম গ্রামের আশেপাশে কোনো দোকান বা বাড়িতে বিক্রি করে দেওয়া হয়। ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে এই বাধাপুকুর কমলাবাড়ি গ্রামটি।



গ্রামবাসীরা সরাসরি অভিযোগ জানালেন, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দিদিমণি রুম্পি গুপ্ত সাহা এখানে নিয়মিত আসেন না। দিনের পর দিন তিনি অনুপস্থিত থাকেন। ফলে নিয়মমাফিক মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ খাবারও বাচ্চা এবং মা পায় না। অন্যদিকে সেই সমস্ত বাচ্চাদের জন্য বরাদ্দ ডিম ও চাল গ্রামের আশেপাশে কোনো দোকান বা বাড়িতে বিক্রি করা হচ্ছে। এদিনও দিদিমণি আসার পর কয়েকজন বাচ্চাদের হাতে শুধুমাত্র সেদ্ধ ডিম দেওয়া হয়। এরপর তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ঘটনা জানার পর গ্রামবাসীরা সংবাদমাধ্যমকে জানালে, দিদিমণি তড়িঘড়ি খিচুড়ি রান্না শুরু করেন। তারপর বাচ্চাদের মধ্যে সেই খিচুড়ি বিলি করা হয়।


এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মীকে অন্য কোথাও সরিয়ে না নিলে আগামী দিনে আরও বড়ো আন্দোলনের হুমকি দিলেন গ্রামবাসীরা। এ বিষয়ে লিখিতভাবে বিডিওকে জানাবেন বলেও তাঁরা জানান। বহুবার অভিযোগ জানানোর পরও কোনো সুরাহা না মেলায়, অবশেষে শুক্রবার সকালে ঘেরাও করতে বাধ্য হয়েছেন জানালেন গ্রামবাসীরা।


অন্যদিকে অঙ্গনওয়াড়ি দিদিমণি রুম্পি গুপ্ত সাহা তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, ছুটির দিনে জমে থাকা ডিম শুধুমাত্র পাশের দোকানে ফ্রিজে রাখা হয়। পরের দিন তা আবার সেই দোকান থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ তৈরি হলে অফিসে জানিয়ে তদন্ত করানোর কথাও তিনি বলেন।

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page