পণের দাবিতে খুনের চেষ্টা, জোড়া অভিযোগ মালদায়
top of page

পণের দাবিতে খুনের চেষ্টা, জোড়া অভিযোগ মালদায়

পণের দাবিতে অমৃতি ও মোথাবাড়িতে দুটি পৃথক ঘটনায় এক নববধূ ও এক দম্পতিকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজন বর্তমানে মালদা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন। দুই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।



অমৃতির আক্রান্ত বধূর নাম প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী (১৯)। জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগে ইংরেজবাজারের অমৃতি গোঁসাইহাটের বাসিন্দা পেশায় হোমগার্ড, কানাই গোস্বামীর সঙ্গে বিয়ে হয় প্রিয়াঙ্কার। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পরিবারের লোকজন পণের জন্য প্রিয়াঙ্কাকে চাপ দিতে থাকে। গত বুধবার বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য প্রিয়াঙ্কাকে চাপ দেওয়া হলে অস্বীকার করে সে। এরপরেই তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।


আক্রান্ত বধূর বাবা প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন, বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যে আমার কাছে সাড়ে ১৩ হাজার টাকা নেয় জামাই। তারপর কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার ২৫ হাজার টাকা নেয়। তারপরেও টাকার খিদে মেটে না। ওরা আমার মেয়েকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। ওদের শাস্তি হওয়া দরকার।


অন্যদিকে, পণের দাবিতে দম্পতিকে প্রাণে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মোথাবাড়ির প্রতাপপুরে। এই ঘটনায় বধূর শাশুড়ি সহ তিন ননদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আক্রান্ত দম্পতির নাম শবনম পারভিন ও হায়াত শেখ। বর্তমানে দুইজনেই মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।



শবনম পারভিনের অভিযোগ, বিয়েতে যৌতুক হিসাবে ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই বাপের বাড়ি থেকে আরও এক লক্ষ টাকা অথবা মোটরবাইক নিয়ে আসার জন্য চাপ দিত শাশুড়ি আয়েশা বেওয়া এবং তিন ননদ। সেই টাকা নিয়ে না আসায় তাঁর এবং স্বামীর ওপর অত্যাচার করা হত। গত শনিবার এই নিয়ে আবারও বিবাদ বাধে। হাঁসুয়া এবং রড দিয়ে তাঁকে এবং তাঁর স্বামীকে প্রাণে মারার চেষ্টা করে শাশুড়ি সহ তিন ননদ।

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page