মহানন্দার খাতে জমি বিকোচ্ছে লক্ষাধিক টাকায়, কর নিচ্ছে পুরসভা
সেচ দফতরের অধীনস্থ মহানন্দা নদীর বুকে চলছে জমির ব্যবসা। প্রতি কাঠা জমি বিকোচ্ছে লক্ষাধিক টাকায়। গজিয়ে উঠছে বেআইনি বাড়ি। সেই বাড়ি থেকে রীতিমতো কর আদায় করছে পুরসভা। বিষয়টি নজরে আসতেই জেলাশাসকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে সেচ দফতর।
পুরাতন মালদা পুরসভার ৬, ৮, ৯, ১৮, ২০ সহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ। সরকারি জমি দখল করে রাখার পরে তা বিক্রির দালালচক্রের অভিযোগও তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রতি কাঠা জমি এক থেকে দেড় লাখ টাকায় বিকোলেও জমির দলিল কিংবা অন্য নথিপত্রের কোনো কারবার নেই। রবীন্দ্রপল্লি এলাকার বাসিন্দা অবিনাশ হালদার জানান, গত ১৪-১৫ বছর ধরে নদীর ধারে এভাবেই বাড়ি তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে এই এলাকায় নদীর বুকে প্রায় হাজার বাড়ি তৈরি হয়েছে। এলাকায় কারও জমির দলিল নেই। পুরসভা করও নিচ্ছে।
একই বক্তব্য আরেক বাসিন্দা সুম্মদ মহালদারের। তিনি জানান, গরিব হওয়ায় বেশি দাম দিয়ে ভালো জায়গা কেনার ক্ষমতা তাঁদের নেই। কম দামে জমি পেয়ে বসবাস শুরু করেছেন। বর্ষার সময় জল বাড়িতে ঢুকলে মাস দুয়েক অন্য জায়গায় আশ্রয় নিতে হয়।
পুরাতন মালদা পুরসভার প্রশাসক কার্তিক ঘোষ জানান, সরকারি জমি বিক্রির খবর তাঁর জানা নেই। তবে কেউ যদি সরকারি জমিতে বেআইনি নির্মাণ করে, পুরসভা তা ভেঙে দেবে। ইতিমধ্যে মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। প্রায় ২০ বছর ধরে মহানন্দার তীরে মানুষ অস্থায়ীভাবে বসবাস করছে। তাদের কাছ থেকে জমি দখলে রাখার জন্য একটা কর নেওয়া হয়। কিন্তু নদীর ধারে কোনও স্থায়ী নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না।
[ আরও খবরঃ মাগুরা স্লুইস গেটে নিষিদ্ধ হল স্নান, মৃত দুই ]
সেচ দফতরের আধিকারিক প্রণবকুমার সামন্ত জানান, পুরাতন মালদার পাশাপাশি ইংরেজবাজার পুর এলাকার কিছু জায়গা থেকেই একই অভিযোগ এসেছে। প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া এসব বেআইনি নির্মাণ সরানো সেচ দফতরের একার পক্ষে সম্ভব নয়। জেলা প্রশাসন, পুর প্রশাসনের সঙ্গে সেচ দফতরের যৌথ ব্যবস্থাপনাতেই এই সমস্যা দূর করা যেতে পারে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments