গৌড়ে পুকুর থেকে উদ্ধার বিশাল আকৃতির বুদ্ধমূর্তি
কোদালের কোপে মালদার মাটি থেকে বেরিয়ে আসে ইতিহাস। গৌড়-আদিনার মালদায় আছে বৌদ্ধ সংস্কৃতির ছোঁয়াও। জগজীবনপুরের প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষই তার জলজ্যান্ত উদাহরণ। পাল যুগের ইতিহাস বুকে নিয়ে নন্দদির্ঘিকা বৌদ্ধবিহার আজও জানান দিচ্ছে সে যুগে নালন্দা, তক্ষশীলার মতো বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল গৌড়ভূমিতে। সেখানে নেপাল থেকেও বৌদ্ধ ভিক্ষুরা আসতেন। তবে কালের নিয়মে সে সব আজ অতীত।
বৌদ্ধ সংস্কৃতির সঙ্গে মালদা তথা গৌড়বঙ্গের নিবিড় সম্পর্কের প্রমাণ আরও একবার মিলল প্রাচীন এক বৌদ্ধ মূর্তির উদ্ধারের ঘটনায়। ইংরেজবাজারের কাঞ্চনটারের কাছে পুকুরের খননের সময় এই বিশাল আকৃতির বৌদ্ধ মূর্তিটি পাওয়া যায়।
ধ্যানমগ্ন বৌদ্ধ মূর্তিটি প্রায় ১২০০ বছরের পুরোনো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কষ্টি পাথরের মূর্তিটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অসীম। আর সে কারণেই মূর্তিটি উদ্ধার করে মালদা জেলা মিউজিয়ামে রাখা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মূর্তিটির বিশ্লেষণ করলে অনেক তথ্য সামনে আসতে পারে। বিশেষত আজ থেকে ১২০০ বছর আগে মালদায় বৌদ্ধ সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যাবে এই মূর্তি থেকে। গৌড়ের কাছে এই মূর্তি উদ্ধারের তাৎপর্য হল, সে যুগে এই অঞ্চলে নিশ্চিতরূপে বৌদ্ধ সংস্কৃতির বিস্তার ঘটেছিল। শুধু জগজীবনপুরেই নয়, বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বৌদ্ধ রাজাদের দাপট ছিল। সমাজে বৌদ্ধ ধর্মেরও প্রভাব ছিল। সে কারণেই বৌদ্ধমূর্তির উপাসনা হত। ফলে শুধু মালদা নয়, দুই দিনাজপুরেও বহু এজাতীয় মূর্তির হদিস মিলেছে।
মুসলিম স্থাপত্য আর হিন্দু সংস্কৃতির মাঝে মালদায় যে বৌদ্ধ ধর্মেরও বিকাশ ঘটেছিল, মাঝেমধ্যেই বৌদ্ধমূর্তি উদ্ধারের ঘটনা তার প্রমাণ দেয়। এ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে।
[ আরও খবরঃ ন্যাশনাল অ্যাথলিটিক্সে সোনা জিতলেন মালদার তনুশ্রী ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments