দিল্লিতে বাংলাদেশি সন্দেহে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
- Jul 28
- 2 min read
বাংলাদেশি সন্দেহে বাঙালি মহিলাকে হেনস্তার অভিযোগ দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে। ওই মহিলার কন্যা সন্তানকে মাটিতে ছুঁড়ে ফেলার অভিযোগও উঠেছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়েছে রাজ্য জুড়ে। এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মধ্যে ফের ওই পরিবারকে থানায় আটকে রাখার অভিযোগে চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই পরিবারের আত্মীয়স্বজনরা।
চাঁচল থানার হাজতপুর গ্রামের বাসিন্দা মুক্তার খান৷ তিনি দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিতে কাজ করছেন৷ তাঁর স্ত্রী সাজেনুর পারভিনও স্বামীর সঙ্গেই দিল্লির গীতা কলোনি এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন৷ অভিযোগ, শুক্রবার দিল্লি পুলিশ তাঁদের ভাড়া বাড়িতে হানা দেয়৷ তখন মুক্তার বাড়িতে ছিলেন না৷ সেই সময় পুলিশ-কর্মীরা সাজেনুরকে জোর করে থানায় নিয়ে যায়। সাজেনুরের কোলে থাকা বাচ্চা মেয়েটিকে তুলে মেঝেতে ছুড়ে ফেলেন এক পুলিশ-কর্মী বলেও অভিযোগ। থানায় সাজেনুরকে জানানো হয়, বাংলাদেশি সন্দেহে তাঁকে ধরা হয়েছে৷ ২৫ হাজার টাকা দিলে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে৷ খবর পেয়ে থানায় ছুটে যান মুক্তার৷ স্ত্রীর মুক্তির জন্য পুলিশের দাবি মেনে ২৫ হাজার টাকা দেন মুক্তার৷ এরপরেই সাজেনুরকে ছেড়ে দেয় পুলিশ৷
খবর পেয়ে রবিবার রাতে মুক্তারের বাড়িতে যান চাঁচল থানার আইসি পূর্ণেন্দুকুমার কুণ্ডু৷ মুক্তারের বোন মুক্তারি খাতুন জানান, দিল্লি পুলিশ দাদা-বৌদিকে বাংলাদেশি বলে ওদের সেই দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে৷ শুক্রবার বউদি ভাড়াবাড়িতে একা ছিল৷ সেখান থেকে ওকে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছে৷ বউদির কোল থেকে ছিনিয়ে নিতে গিয়ে বাচ্চাটাকে ওরা ছুড়ে ফেলেছে৷ বাচ্চাটার মাথা আর কান কেটে গিয়েছে৷ বউদিকে থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিশ ২৫ হাজার টাকা দাবি করে৷ শুনলাম দাদা টাকা দেওয়ার পর পুলিশ বউদিকে ছেড়েছে৷ এই ঘটনা নিয়ে দাদা সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন। রবিবার মুখ্যমন্ত্রীও এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন। এরপরেই রবিবার রাতে ফের দিল্লি পুলিশ এসে, দাদা, বউদি এবং বাবা-মাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

ঘটনা-প্রসঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নুর জানান, চাঁচলের ওই পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে দিল্লির গীতা কলোনিতে থাকেন৷ তাঁরা আমাকে জানিয়েছেন, দিল্লি পুলিশের লোক পরিবারের এক মহিলা ও তাঁর দুই সন্তানকে ডেকে তাঁরা কোথাকার বাসিন্দা তা জানতে চায়৷ তাঁরা পুলিশকে সমস্ত নথিপত্র দিয়ে দেন৷ কিন্তু পুলিশ তাঁদের সমস্ত নথিপত্র ভুয়ো বলে তাঁদের বাংলাদেশি তকমা দেন৷ তাঁদের নাকি খুব মারধরও করা হয়েছে। মুক্তির জন্য ২৫ হাজার টাকাও হাতিয়েছে দিল্লি পুলিশ। বিষয়টি জানতে পেরেই আমি নির্দিষ্ট জায়গায় সমস্ত ঘটনা জানিয়েছি। বাংলাভাষীদের এভাবেই বাংলাদেশি তকমা দিয়ে ওই দেশে পাঠানোর চেষ্টা চলছে৷ বিভিন্ন রাজ্যে এই ঘটনা ঘটছে৷ বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেই এমন হচ্ছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments