ইন্দো-বাংলা সীমান্তে অবস্থিত শেষ রেলওয়ে স্টেশনের ইতিহাস
top of page

ইন্দো-বাংলা সীমান্তে অবস্থিত শেষ রেলওয়ে স্টেশনের ইতিহাস

ভারতবর্ষের সবচেয়ে বড়ো রেলওয়ে স্টেশন কিংবা উচ্চতম রেলওয়ে স্টেশনের নাম সকলের জানা। তবে জানা নেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত শেষ স্টেশনের নাম। ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই রেলওয়ে স্টেশন এখন শুধুমাত্র খাতা কলমেই স্টেশন। বিগত কয়েকবছর এই স্টেশনে কোনও যাত্রীবাহী ট্রেন থামেনি। এখনও এই স্টেশনের ওপর দিয়ে বাংলাদেশে কিছু পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করে। সাধারণ মানুষের দাবি, পুনরায় এই স্টেশনকে চালু করা হোক। এতে যেমন ইতিহাসকে সংরক্ষণ করা হবে, তেমনই ওই এলাকার মানুষও উপকৃত হবেন।



স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, হবিবপুরের শ্রীরামপুর গ্রামপঞ্চায়েতে অবস্থিত সিঙ্গাবাদ স্টেশন ১৯০৪ সালে স্থাপিত হয়েছিল। সেই সময় এই স্টেশনের ওপর দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করত। এই স্টেশনটি কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে ট্রেন সংযোগের জন্য ব্যবহৃত হত। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস, মহাত্মা গান্ধির মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীরা এই স্টেশনের ওপর দিয়ে যাতায়াত করেছিলেন। স্বাধীনতার পর ভারত ও পাকিস্তানের বিভক্তির সময় এই স্টেশন জনশূন্য হয়ে পড়ে। ১৯৭৮ সালে এই রুটে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এসব ট্রেন ভারত থেকে বাংলাদেশে যাতায়াত করত। ২০১১ সালের নভেম্বরে, পুরানো চুক্তিটি সংশোধন করা হয়েছিল এবং নেপালকে এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ভারতবর্ষের শেষ সীমান্তের স্টেশন সিঙ্গাবাদের পরই বাংলাদেশের প্রথম স্টেশন রোহনপুর। এখন আর এই স্টেশন দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে না। এখন শুধু এই স্টেশনে পণ্যবাহী ট্রেন সিগন্যালিংয়ের জন্য অপেক্ষা করে।



ব্রিটিশ আমলের তৈরি এই স্টেশনে এখনও সেই আমলের বেশ কিছু সামগ্রী লক্ষ্য করা যায়। সেই সময়ের কার্ডবোর্ডের টিকিট, টেলিফোন, সিগন্যালিংয়ে ব্যবহৃত হ্যান্ড গিয়ার ইত্যাদি ইত্যাদি। স্থানীয় বাসিন্দারা পুনরায় এই স্টেশন চালু করার দাবি তুলেছেন। তাঁদের দাবি, এই স্টেশন পুনরায় চালু করা হলে ইতিহাসের সংরক্ষণ যেমন হবে, তেমনই এলাকার মানুষ অনেক উপকৃত হবেন।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page