top of page

জমির দখলদারিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হরিশ্চন্দ্রপুর, চলল গুলি

নয় শতক জমির দখল নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে শুক্রবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল হরিশ্চন্দ্রপুরের জগন্নাথপুর গ্রাম৷ অভিযোগ, সংঘর্ষে ইটবৃষ্টির পাশাপাশি গুলিও চালানো হয়েছে৷ ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই পক্ষের অন্তত পাঁচজন৷ আহতদের উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ৷ এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা রুখতে চলছে পুলিশি টহলও৷ এদিকে, ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও৷


স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, জগন্নাথপুর এলাকায় নয় শতক জমি রয়েছে৷ সেই জমির দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মহম্মদ সফিকুল আলম ও আজগার আলির বিবাদ চলছিল৷ এর আগেও এই দখলদালি নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে৷ সেই ঘটনার ভিত্তিতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় উভয়পক্ষের তরফেই অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শুক্রবার দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ গ্রেপ্তারির খবর ছড়িয়ে পড়তেই ফের দু’পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়৷ অভিযোগ, দুপক্ষের লোকজন একে অপরকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে থাকে৷ সেখানেই গুলি চালানোরও অভিযোগ উঠেছে৷


সফিকুল জানান, এখানে মোট ১৪ শতক জায়গা আছে৷ বাবা, কাকা আর দাদার নামে ১৪ শতক জমির মধ্যে নয় শতকের রেকর্ড আছে৷ খতিয়ানেও তার উল্লেখ আছে৷ কিন্তু ওরা সেই জমি দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে৷ এনিয়ে কিছুদিন আগেই ওরা আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়৷ সেই ঘটনার ভিত্তিতে পুলিশ ওদের একজনকে গ্রেপ্তার করে৷ শুক্রবার দুপুরে ওরা ফের আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়৷ বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে৷ পুলিশ দুটি গুলির খোলও উদ্ধার করেছে৷


প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

ঘটনার পর থেকে এলাকায় দেখা যায়নি আজহার আলিকে৷ তাঁর বউদি সরেফা খাতুনের দাবি, পুলিশ ওদের একজনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পরেই ওরা হামলা চালায়৷ ওরা কয়েক রাউন্ড গুলিও চালিয়েছে৷ এখন ওরা আমাদের নামে মিথ্যে অভিযোগ করছে৷ ওরাই আমাদের ন’শতক জমি দখল করে রেখেছে৷ ওই জমির কাগজপত্র আমাদের কাছে রয়েছে৷


ঘটনাপ্রসঙ্গে চাঁচল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷ ঘটনাস্থল থেকে কার্তুজের খোল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷ শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এলাকায় পুলিশি টহলদারি চলছে৷ অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত চলছে৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page