top of page

শাসনের পরেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার কিশোরীর

কাকাতো দাদার সঙ্গে মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি পরিবারের লোকজন। কাকাতো দাদার থেকে মন ঘোরাতে ১৫ বছরেই অন্য এক তরুণের সঙ্গে জোর করে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেন পরিবারের লোকজন। শ্বশুরবাড়ি এসে শারীরিকভাবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন স্বামীকে মেনে নিতে পারেননি ওই নববধূ। শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সাফ জানিয়ে দেয়, স্বামীর সঙ্গে সংসার না করে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাবে সে। সেই খবর পেয়েই মেয়েকে শাসন করতে আসেন বাবা-মা। মেয়েক শাসন করতে গিয়ে চড়-থাপ্পরও মারেন। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই বাড়ি থেকে সামান্য দূরের আমগাছে ওই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরে।


মৃত কিশোরীর বাবা শ্রমিকের কাজ করেন। তাঁদের চার ছেলেমেয়ে। সামান্য আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তিনি। সেই থেকেই বড়ো মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। অথচ তাঁর বড়ো মেয়ে কাকার ছেলেকে ভালোবাসত। কাকার ছেলেকেই বিয়ে করার কথা জানিয়েছিল ওই কিশোরী। কিন্তু মেয়ের কথায় গুরুত্ব না দিয়ে মাস দুয়েক আগে ওই গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু হাতে টাকা না থাকায় মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠাতে পারেননি পরিবারের লোকজন। ছেলের পরিবারের তরফে বিনা টাকাতেই মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। সেই সময় দশ দিন আগে ওই কিশোরীকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো হয়। কিন্তু ঠিকভাবে চলাচল না করতে পারা স্বামীকে মেনে নিতে চাননি ওই কিশোরী। সে কাকার ছেলেকেই বিয়ের কথা বলতে থাকে। দিনের পর দিন এমন চলতে থাকায় ছেলের বাড়ির তরফে মেয়ের বাড়িতে সমস্ত ঘটনা জানানো হয়। মেয়েকে বোঝাতে ছুটে যান পরিবারের লোকজন। মেয়েকে শাসন করতে গিয়ে চড় মারের কিশোরীর মা। এরপরেই বাড়ি থেকে সামান্য দূরে ওই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।


প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

কান্নায় ভেঙে পড়ে কিশোরীর মার দাবি, গতকাল ওকে বোঝাতে এসেছিলাম। একটু শাসনও করেছিলাম৷ আজ সকালে শুনি, মেয়ে ফাঁসি দিয়ে মরে গিয়েছে৷ মেয়ে এমন কাজ করবে, বুঝতে পারিনি৷


এদিকে এই ঘটনার পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page