top of page

বিয়ের দিন নিখোঁজ পাত্র, উদ্ধার পচাগলা দেহ

শুক্রবার বিয়ের কথা ছিল। সকাল থেকেই বাড়িতে বিয়ের প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। কিনে আনা হয়েছিল নানা খাদ্যসামগ্রীও। হঠাৎ সকলের নজরে আসে সকাল থেকে পাত্রের দেখা মিলছে না। এরপরেই খোঁজ শুরু হয় পাত্রের। চারিদিকে খোঁজখবর চালিয়েও কোনও খোঁজ না মেলায় পরিবারের তরফে মিসিং ডায়ারি করা হয়। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় পাত্রের মোবাইলের কল লিস্ট খতিয়ে দেখেন পরিবারের লোকজন। সেখানে প্রমাণ মেলে পরকীয়ার। পরিবারের তরফে থানায় আরও একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অবশেষে বুধবার বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে বাঁশঝাড় থেকে পাত্রের গলা কাটা পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চাঁচলে।


মৃত পাত্রের নাম নাহারুল হক (২৮)। বাড়ি চাঁচল থানার অন্তর্গত গোরখপুর গ্রামে৷ নাহারুল দিল্লিতে সেলাইয়ের কাজ করতেন। কুরবানির ইদের সময়ে বাড়ি ফিরে আসেন নাহারুল। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মোবারকপুরে নাহারুলের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। তবে বিয়ে করলেও নতুন বউকে দুই মাস পর ঘরে আনার কথা বলেছিলেন নাহারুল।


নাহারুলের ভাই জাহেদুল জানান, শুক্রবার দাদার বিয়ে ছিল৷ সেদিন থেকেই দাদাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। আমরা থানায় মিসিং ডায়ারি করি৷ কিন্তু থানা কিছুই করেনি৷ আজ সকালে বাঁশবাগানে দাদার গলা কাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে৷ দাদার সঙ্গে একটি মেয়ের সম্পর্ক ছিল৷ সেই মেয়ে বিবাহিত৷ তার একটি ছেলেও রয়েছে৷ কিন্তু দাদা এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে অন্য মেয়েকে বিয়ে করবে বলে ঠিক করে৷ দাদা নিখোঁজ হওয়ার দিন থেকেই ওই বিবাহিতা বউদিও ওর মায়ের বাড়ি চলে যায়৷ দাদার মোবাইল ফোন ঘেঁটে জানতে পেরেছি, বৃহস্পতিবার রাতে দাদার সঙ্গে ওই বউদির দীর্ঘ সময় কথা হয়েছে৷ ও দাদাকে হুমকি দিয়েছিল, যদি দাদা ওকে বিয়ে না করে তবে ও দাদাকে বিয়ে করতে দেবে না৷ আমাদের অনুমান, দাদাকে ওরাই খুন করেছে৷

প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

এক আত্মীয় জাহাঙ্গির আলম জানান, শুক্রবার নাহারুল আমাকে ফোন করেছিল। আমি তখন মাঠে ছিলাম৷ মাঠ থেকে ফিরে দেখি ও নেই৷ ভেবেছিলাম হয়তো মাঠে গিয়েছে৷ বিয়ের একটা বিধির জন্য নাহারুলের প্রয়োজন ছিল। তাই আমরা সবাই মিলে ওকে খুঁজতে শুরু করি৷ কিন্তু কোথাও সন্ধান পাওয়া যায়নি৷ আজ সকালে বাঁশবাগানে ওর গলা কাটা, পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছে৷ ওর সঙ্গে একটি মেয়ের পরকীয়া ছিল৷ সম্পর্কে মেয়েটি আমার শ্যালকের মামাতো ভাইয়ের বউ৷ নাহারুলের ফোন থেকে আমরা জানতে পারি, বৃহস্পতিবার রাতে ওই মেয়ের সঙ্গে ওর একাধিকবার কথা হয়েছে৷ হবু বউয়ের সঙ্গেও কয়েকবার কথা হয়েছিল।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page