top of page

হঠাৎ বন্ধ জিকেসিআইইটি, ক্ষোভ পড়ুয়াদের

ছাত্র বিক্ষোভের আঁচ পেয়েই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হল গণি খান চৌধুরী ইন্সটিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি৷ গতকাল রাতে প্রতিষ্ঠানের সহকারী রেজিস্ট্রার দেবানিক মজুমদার এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। শনিবার সকালের মধ্যেই পড়ুয়া ও হস্টেলের আবাসিকদের ক্যাম্পাস খালি করতে বলা হয়।


প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা জানান, বি টেকের ফল এখনও প্রকাশিত হয়নি। এদিকে, গতকাল রেজাল্ট রিভিউয়ের আবেদনের শেষ দিন ছিল। এটা কীভাবে সম্ভব? প্রতিবাদ করে করে গতকাল আমরা পড়ুয়ারা অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করি। রাত দেড়টা পর্যন্ত আমরা বিক্ষোভ চালিয়েছিলাম। রাতে পুলিশের উপস্থিতিতে গোটা বিষয়টি নিয়ে সামান্য মীমাংসা হয়েছিল৷ তারপর সবাই নিজের ঘরে চলে যাই৷ সকালে শুনি, কলেজ বন্ধ৷ মেয়েদের সকাল সকালই বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ ছেলেদের সকাল ১০টার মধ্যে কলেজ ও হস্টেল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এই প্রতিষ্ঠান আর খুলবে কিনা বুঝতে পারছি না৷ আমাদের রেজাল্টই অনিশ্চিত হয়ে পড়ল৷ জানতে পেরেছি, অফিসিয়াল কিছু ত্রুটির জন্য ম্যাকআউট পোর্টাল থেকে আমাদের রেজাল্ট প্রকাশিত হয়নি৷ এক্ষেত্রে ডিরেক্টরেরই কিছু ভুল ছিল বলেও শোনা গিয়েছে।


ree

পড়ুয়াদের সূত্রে জানা গিয়েছে, জিকেসিআইইটি’র ম্যাকআউট সংস্থা হল কলকাতার মৌলনা আবুল কালাম আজাদ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷ তারাই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা পরিচালনা ও ফল প্রকাশ করে থাকে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ম্যাকআউটের তরফে ফল প্রকাশিত হয়৷ তখনই ম্যাকআউটের তরফে নোটিশ জারি করে জানানো হয়, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কারণে কিছু প্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট তারা আটকে দিয়েছে৷ ওই নোটিশে আরও জানানে হয়েছিল, ম্যাকআউটের সঙ্গে আলোচনা করার পরই প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট বের করে দেওয়া হবে৷ দিন দশেক আগে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলির রেজাল্ট বেরিয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু জিকেসিআইইটির রেজাল্ট প্রকাশিত হয়নি৷ এদিকে গতকাল ম্যাকআউটের তরফে রেজাল্ট রিভিউ-এর আবেদন করার শেষ দিন পেরিয়ে যায়৷ সেই সুযোগ হারানোর কারণেই গতকাল বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন পড়ুয়ারা।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page