অভিযোগ নিতে অস্বীকার, পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ পরিবার
পারিবারিক জমি বিবাদে সংঘর্ষের জেরে খুন হয়ে যাওয়া এক ব্যক্তির পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করার অভিযোগ উঠেছে গাজোল থানার পুলিশের বিরুদ্ধে৷ আজ নিহতের বিবি পুলিশ সুপারের দপ্তরে নিজের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ আরও অভিযোগ, এই ঘটনায় রয়েছে শাসক দলের চাপ৷
গত ১ নভেম্বর গাজোল থানার রাজারামচক গ্রামে জমি বিবাদের জেরে আত্মীয়দের হাতে খুন হয়ে যান আবদুল কায়ুম (৬৩)৷ তাঁর বিবি নার্গিস খাতুনের অভিযোগ, ৮ জন মিলে তাঁর শওহরকে খুন করেছিল৷ কিন্তু সেই ঘটনায় গাজোল থানার পুলিশ তাঁদের অভিযোগ নিতে অস্বীকার করছে৷ অভিযোগের রিসিভ কপি দেওয়া হচ্ছে না৷
কায়ুম সাহেবের মেয়ে নাসরত বানু বলেন, আদালতের রায়ে বিতর্কিত জমিটি এখন তাঁরা ভোগদখল করছেন৷ ওই জমি বাবদ আসামীরা তাঁদের কাছে কিছু টাকা পেত৷ ঘটনার দিন আসামীরা তাঁদের বাড়িতে প্রথমে টাকা চাইতে যায়৷ তাঁর ছোটো বোন জানিয়ে দেয়, ব্যাংক থেকে টাকা তুলে সেদিন সন্ধেতেই সেই টাকা তাদের দিয়ে দেওয়া হবে৷ তখনই আসামীরা তাঁর আব্বাকে ঘর থেকে বের করে বেধড়ক মারধর শুরু করে৷ আহত আব্বাকে তাঁরা হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে তারা ফের তাঁদের উপর হামলা চালায়৷ প্রকাশ্য তারা জানিয়ে দিয়েছে, তারা তাঁদের সবাইকে মেরে ফেলবে৷ এই ঘটনায় পুলিশই তাঁদের ৪-৫ দিন পরে থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে বলে৷ এখন পুলিশ তাঁদের বলছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর অভিযোগ রিসিভ করা হবে৷ তাঁরা বুঝতে পারছেন না, অভিযোগ নেওয়ার সঙ্গে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের কী যোগ রয়েছে৷ তাই আজ তাঁরা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন৷ তাঁরা এবং আসামীরা তৃণমূল করেন৷ তাঁর ধারনা, রাজনৈতিক চাপেই গাজোল থানার পুলিশ তাঁদের অভিযোগপত্র জমা নিতে অস্বীকার করছে৷ একই বক্তব্য কায়ুম সাহেবের ছেলে আসিফ মিরাজেরও৷ গোটা ঘটনা নিয়ে গাজোল থানার পুলিশ কোনও মন্তব্য করেনি৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
প্রতীকী ছবি।
Comments