মোবাইলে বুঁদ মেয়েকে বকাবকি করেছিলেন মা, অভিমানে আত্মঘাতী
top of page

মোবাইলে বুঁদ মেয়েকে বকাবকি করেছিলেন মা, অভিমানে আত্মঘাতী

পড়াশোনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া টাকায় কেনা স্মার্টফোনে সোশ্যাল মিডিয়াতেই ব্যস্ত থাকত এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী৷ এর জন্য গতকাল মায়ের কাছে বকুনি খেয়েছিল সে৷ সেই অভিমানেই ঘরে রাখা কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ওই ছাত্রী৷ ঘটনাটি ঘটেছে গাজোল থানার রানিগঞ্জ গ্রামে৷ আজ মালদা মেডিকেল কলেজে ওই ছাত্রীর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে৷



আত্মঘাতী ওই ছাত্রীর নাম বিউটি বালো (১৯)৷ রানিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাদের বাড়ি৷ সে স্থানীয় রানিগঞ্জ কৃষ্ণচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী৷ বাবা লালমোহন বালো প্রয়াত হয়েছেন৷ পেশায় কৃষক ছিলেন তিনি৷ মা টুবি বালো সাধারণ গৃহবধূ৷ বিউটি তাঁর ছোটো মেয়ে৷ একান্নবর্তী পরিবারের সদস্য তাঁরা৷ জানা গিয়েছে, করোনায় স্কুল বন্ধ হওয়ার পর থেকেই পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে উঠেছিল বিউটি৷ তারই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া টাকায় কিনে ফেলে একটি স্মার্টফোন৷ দিনের বেশিরভাগ সময় ওই ফোনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ত থাকত সে৷ মোটেই পড়াশোনায় ওই ফোন ব্যবহার করত না৷ এনিয়ে গতকাল রাতে টুবিদেবী তাকে ভীষণ বকুনি দেন৷ তাতেই অভিমানে ঘরে রাখা কীটনাশক খেয়ে ফেলে সে৷ তড়িঘড়ি তাকে গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখান থেকে মালদা মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা বিউটিকে মৃত ঘোষণা করেন৷


বিউটির কাকাতো দাদা দেবেশ বালো বলেন, স্মার্টফোন হাতে পেয়ে বিউটির পড়াশোনা শিকেয় উঠেছিল৷ সবসময় ওই ফোনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ত থাকত৷ এদিকে সামনে ওর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা৷ এনিয়ে গতকাল রাতে কাকিমা ওকে বকাবকি করেন৷ তাতেই অভিমানে সে কীটনাশক পান করে আত্মঘাতী হয়৷



আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page