বিপদসীমা পেরল গঙ্গা, আতঙ্কে ভূতনিবাসী
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
- Aug 4
- 1 min read
গত কয়েকদিনে খানিকটা জলস্তর কমেছিল। সোমবার সকাল হতেই ফের বিপদসীমা অতিক্রান্ত করল গঙ্গা। সোমবার সকালে মানিকচক ঘাটে গঙ্গার জলস্তর ছিল ২৪.৭০ মিটার। দুপুর হতে হতে আরও ০.০৪ মিটার জলস্তর বেড়েছে গঙ্গার। জলস্তর বাড়ছে ফুলহর এবং মহানন্দারও। এরই মধ্যে ভূতনি চরের গঙ্গার বাঁধে একাধিক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। প্রশাসনের তরফে ফাটল মেরামতির কাজ শুরু করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন জলস্তর আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে সেচ দপ্তর।
সেচ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী সোমবার সকালে গঙ্গার জলস্তর ছিল ২৪.৭০ মিটার (বিপদসীমা ২৪.৬৯ মিটার, অতি বিপদসীমা ২৫.৩০ মিটার)৷ সকাল আটটায় ফুলহরের জলস্তর ছিল ২৫.৯০ মিটার (বিপদসীমা ২৭.৪৩ মিটার, অতি বিপদসীমা ২৮.৩৫ মিটার)৷ এদিন সকালে মহানন্দার জল বয়েছে ১৮.৭২ মিটার উচ্চতায়। যা বিপদসীমা থেকে খানিকটা নিচে রয়েছে।
এদিকে, মানিকচকের ভূতনি চরে রিং বাঁধে ফাটল দেখা দেওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গঙ্গার জল এখনও বাঁধ স্পর্শ না করলেও যেভাবে জলস্তর বাড়ছে তাতে কয়েকদিনের মধ্যেই বাঁধে জল চলে আসতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ আবদুল্লা বলছেন, বাঁধ নির্মাণের সময়ই আমরা বলেছিলাম, বালির বাঁধ তৈরি করে গঙ্গাকে থামানো যাবে না৷ কয়েকদিনের বৃষ্টিতেই বাঁধের একাধিক জায়গায় বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে৷ আজ গঙ্গার জলস্তর বিপদসীমা পেরিয়ে গিয়েছে৷ জলস্তর আরও বাড়লে জলের চাপে এই বাঁধ কেটে গিয়ে পুরো ভূতনি প্লাবিত হয়ে পড়তে পারে।
যদিও সেচ দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শিবনাথ গঙ্গোপাধ্যায় দাবি করেছেন, এগুলো ফাটল নয়, রেইনকাট। রবিবারই আমাদের কাছে রেইনকাটের খবর এসেছে। সেই মতো আমরা রেইনকাট মেরামতের কাজ শুরু করেছি। এতে আশঙ্কার কিছু নেই। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments