পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় মৃত চার, আহত আরও চার
পৃথক দুটি পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু চারজনের। আহত হয়েছেন আরও চারজন। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনা দুটি ঘটেছে পুরাতন মালদা ও গাজোলে। দুটি ঘটনাতেই জাতীয় সড়কে খানিক সময়ের জন্য যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান চলাচল স্বাভাবিক করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাজোলের দেওতলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি টোটোকে মুখোমুখি ধাক্কা মারে একটি দ্রুতগামী গাড়ি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনজনের। গুরুতর আহত হন আরও একজন। মৃতদের নাম নিজামুদ্দিন শেখ (৫৫), ললিত ভুঁইমালি (৭০) ও দেওতলার আলতাফ হোসেন (৪২)। আহত হয়েছেন সামসুদ্দিন শেখ (৬০)।
ললিতবাবুর ছেলে সুভাষ ভুঁইমালি জানান, বাবা গাজোলে মাছ বিক্রির জন্য ভোরে বাড়ি থেকে বেরোন। দেওতলা স্ট্যান্ড থেকে খানিকটা আসার পর বাবাদের টোটো দুর্ঘটনার মুখে পড়ে৷ ওই এলাকার লোকজন ফোনে দুর্ঘটনার খবর দেন। এসে দেখি, বাবার মাথার উপর দিয়ে চাকা চলে গিয়েছে৷ দুর্ঘটনায় এখানেই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে৷ আলতাফ হোসেনের ভাগ্নে ফুল মহম্মদ শেখ জানান, মামা ভোরে নমাজ পাঠ করে টোটো নিয়ে বেড়িয়েছিলেন। সকাল ৬টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেখানে গিয়ে দেখি, টোটোর সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে৷ টোটোর যাত্রীরাও এদিকে সেদিকে পড়ে রয়েছে৷ কোন গাড়ি টোটোকে ধাক্কা মেরেছে সেটা এখনও জানি না৷

অন্যদিকে পুরাতন মালদার নারায়ণপুর এলাকায় ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি পাথর বোঝাই লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে এসকেভেটরে ধাক্কা মারে। পরে লরিটি খানিক দূরে একটি শো-রুমে ঢুকে যায়। লরির ধাক্কায় শো-রুমে কর্মরত নৈশ প্রহরীর মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তির নাম নুরুল শেখ (৫৪)। আহত হয়েছেন এসকেভেটরের চালক ও খালাসিও। তবে দুর্ঘটনার পর লরির চালক ও খালাসি সেখান থেকে পালিয়ে যায়৷
স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ সামসুল জানান, আমাদের অনুমান লরি চালক গতি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে৷ দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের কাছে এই এলাকায় স্পিড গান ব্যবহার করার দাবি জানাচ্ছি৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments