ক্ষোভ থেকে বাঁচতে বানভাসি এলাকায় যাচ্ছেন না মন্ত্রী, দাবি বিরোধীদের
২২ দিন আগে বাঁধ ভেঙেছে। তারপর থেকে একে একে ভূতনির সমস্ত গ্রাম বানভাসি হয়েছে। এখনও জলের নিচে রয়েছে ভূতনি থানা সহ এলাকার সমস্ত স্কুল। ইতিমধ্যে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরের। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের। সর্পাহত হয়ে চিকিৎসাধীন আরও দুজন। খাদ্য ও পানীয় জলের অভাবে দুর্গতদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে প্রশাসনিক কর্তাদের। এই পরিস্থিতিতে ব্লক অফিসে বৈঠক করলেও ওই এলাকা পরিদর্শনে যাননি সেচ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। এমনকি স্থানীয় বিধায়কও এলাকায় যাননি। তাতেও আরও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন বানভাসি পরিবারগুলি। মানুষের ক্ষোভ সামাল দিতে পারবেন না বলেই বানভাসি এলাকায় পা রাখছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা, এমনই দাবি করছে বিরোধী শিবিরগুলি।
গতকাল বিকেলে মানিকচক ব্লক অফিসে প্রশাসনিক বৈঠক করেন সেচ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন৷ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া, এলাকার বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র, অতিরিক্ত জেলাশাসক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা৷
সাবিনা ইয়াসমিন জানান, সময়ের অভাবে ভূতনির দুর্গত এলাকায় যেতে পারছি না৷ তবে আমাদের দপ্তর দুর্গত মানুষজনের পাশে রয়েছে। বন্যা ঘোষণা করার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে৷ শর্তগুলি পূরণ না হলে বন্যা ঘোষণা করা যায় না৷ দুর্গতদের সুবিধেয় সমস্ত দপ্তরকে কাজে লাগিয়েছি৷ দুর্গত মানুষদের রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে৷ গোখাদ্যের যাতে অভাব না হয় তা দেখছে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তর৷ তারপরেও যদি কেউ ত্রাণ না পেয়ে থাকে তবে বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, পঞ্চায়েত প্রধান অথবা টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে সহায়তা পাবেন। মূলত ভূতনি আর রতুয়ায় গঙ্গা ভাঙন হচ্ছে৷ এই দুই জায়গায় দু’বছরে রাজ্যের ফান্ডে ৪০ কোটি টাকার কাজ করা হয়েছে৷ আরও ৭ কোটি টাকার কাজ চলছে৷ ভূতনির রিং বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ ২০২২ সালেও এখানে সমস্যা হয়েছিল৷ হয়তো এবছরের শেষের দিকে স্থায়ীভাবে বাঁধ মেরামতের কাজে হাত লাগানো হবে।
সিপিআইএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দেবজ্যোতি সিনহা জানান, সেচ প্রতিমন্ত্রী মানিকচকে বৈঠক করলেন৷ অথচ ভূতনিতে এলেন না। ১০০ মিটার কাটা বাঁধ সময়মতো মেরামত করে দিলে ভূতনিবাসী দুর্ভোগে পড়ত না৷ মানুষের ক্ষোভ সামাল দিতে পারবেন না, সেই ভয় থেকেই মন্ত্রী, বিধায়ক কেউ ভূতনিতে এলেন না। ভূতনিবাসীকে এভাবে ডোবানো হল কেন, তার জবাব সেচমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে দিতে হবে৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments