মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর নড়চড়ে বসল পুর কর্তৃপক্ষ
জলাশয় ভরাট নিয়ে গত সোমবার বৈঠক করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খোদ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তারপর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে পুরাতন মালদা পুরসভা। নড়েচড়ে বসেছে মালদা থানার পুলিশও। অথচ এতদিন এত সমাজসেবীর প্রতিবাদ, সংবাদমাধ্যমের খবরে গুরুত্ব দেননি কেউই। আজ পুরাতন মালদা পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের একটি পুকুর ভরাট বন্ধ করেছে পুরসভা ও পুলিশ। পুরসভা ও পুলিশের দাবি, তার কেউ আগে এসবের টের পায়নি। তবে এমন কাজ আর হতে দেবে না বলেও দাবি করেছে পুর কর্তৃপক্ষ।
পুরাতন মালদা পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের খয়রাতি পাড়ায় একটি সরকারি জলাশয় রয়েছে৷ কিছুদিন ধরে সেই পুকুর ভরাট শুরু করেছিল জমি মাফিয়ারা। রাতের অন্ধকারে সেখানে ট্র্যাক্টর-ট্র্যাক্টর মাটি ফেলা হয়েছিল। গতকাল রাতে এনিয়ে মালদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ।
আজ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনি বলেন, জমি মাফিয়ারা সরকারি জলাশয় ভরাট করে দিচ্ছে৷ সংবাদমাধ্যমের থেকেই বিষয়টি জানতে পারি। এনিয়ে আমরা পুরসভার তরফে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি৷ অভিযোগের কপি জেলাশাসক সহ প্রশাসনের কর্তাদের পাঠানো হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রীও নির্দেশ দিয়েছেন, কোথাও কোনও জলাশয় ভরাট করা যাবে না৷ এখানে বিভিন্ন জায়গা অনেকে জবরদখল করে রেখেছেন৷ তাঁদের নোটিশ করা হয়েছে৷ আগামীতে তাঁদের উচ্ছেদ করা হবে৷
বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলা সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, বহুদিন ধরেই একাধিক পুকুর অবৈধভাবে ভরাট হয়েছে। যারা পুকুর ভরাট করে প্লট হিসাবে বিক্রি করছে, তারা সবাই শাসকদলের মদতপুষ্ট৷ সমাজে প্রভাবশালী৷ তাই এদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পান না। শুধু খয়রাতি পাড়া নয়, বাকি যে জলাশয়গুলি অবৈধভাবে বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেসবের দিকেও নজর দিতে হবে৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
תגובות