অপহরণের নাটক রচনা করে গ্রেফতার যুবক
বলিউডের সিনেমা দেখে নিজেকে অপহরণের নাটকের পরিকল্পনা ছিল। সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবের রূপ দিতে গিয়ে গ্রেফতার যুবক। প্রাথমিক জেরায় ধৃত যুবক স্বীকার করেছে, পারিবারিক বিবাদের জেরে জ্যেঠু ও জ্যেঠতুতো দাদাকে ফাঁসাতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে সে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক হইচই পড়েছে রতুয়া ২ নম্বর ব্লকের আড়াইডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
আড়াইডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের নিজগাঁ গ্রামের বাসিন্দা শেখ আজহারউদ্দিন (৩২)৷ এলাকায় আজহারউদ্দিন বাপি নামেই পরিচিত। বর্তমানে তিনি ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল সন্ধেয় নিজের মোটরবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বাপি৷ তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। চারদিকে খোঁজাখুঁজির পর বাপির হদিশ না পেয়ে পরিবারের লোকজন রাতে পুখুরিয়া থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, জমি নিয়ে তাঁদের পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছে৷ পুলিশের সন্দেহ হয়, এই বিবাদ থেকে অপহরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সেই মোতাবেক বাপির জ্যেঠু ও জ্যেঠতুতো দাদা শেখ ইউসুফকে আটক করে জেরা শুরু করা হয়। জেরায় পুলিশ নিশ্চিত হয়ে যায় এই ঘটনায় তাঁদের কেউ জড়িত নয়। এরপরেই পুলিশ আধিকারিকরা ফোনের সূত্র ধরে বাপির খোঁজ শুরু করেন। একসময় বাপির ফোন বাজতে শুরু করে। ফোন ধরেন খোদ বাপি। ফোনে কথা বলার পর গভীর রাতে বাপি পুখুরিয়া থানায় উপস্থিত হন৷
এরপর বাপিকে জেরা শুরু করেন তদন্তকারী অফিসাররা। প্রথমে বাপি জানান, পিস্তল দেখিয়ে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল। গোপন ডেরায় তাঁকে রাখা হয়েছিল। কোনোমতে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে এসেছেন। কিন্তু বাপির এই যুক্তিতে বেশ কিছু অসংগতি লক্ষ্য করেন তদন্তকারী অফিসাররা। জেরায় এক সময় বাপি স্বীকার করে, জ্যেঠু আর জ্যেঠতুতো দাদাকে ফাঁসাতে অপহরণের নাটক রচনা করে সে। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় বাপিকে। মঙ্গলবার তাকে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments