অ্যাডমিট বিভ্রান্তিতে পরীক্ষা দিতে পারল না ছাত্রী, উঠছে প্রশ্ন
top of page

অ্যাডমিট বিভ্রান্তিতে পরীক্ষা দিতে পারল না ছাত্রী, উঠছে প্রশ্ন

উচ্চমাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ডের বিভ্রান্তিতে পরীক্ষা দেওয়া হল না এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। এনিয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন ওই পরীক্ষার্থী সহ পরিবারের লোকজন। এমনকি বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে জানাতে গেলে, প্রধান শিক্ষক পরীক্ষার্থীর দাদাকে শারীরিক নিগ্রহ করেন বলেও অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই পরীক্ষার্থী ও তাঁর অভিভাবক। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চাঁচলের থাহাঘাটি এলাকায়।


ওই পরীক্ষার্থীর নাম শবনম খাতুন৷ সে থাহাহাটি হাইমাদ্রাসা থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে৷ তাঁর পরীক্ষার সিট পড়েছে শীতলপুর হাইস্কুলে৷ শনিবার ছিল ফোর্থ সাবজেক্টের পরীক্ষা৷ কিন্তু শবনমের অ্যাডমিট কার্ডে ফোর্থ সাবজেক্টের কোনও উল্লেখ না থাকায় সে আজ পরীক্ষা দিতে পারেনি৷


Examinee was not given the exam because the higher secondary admit card was confusing
পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে শবনম। সংবাদচিত্র।

শবনম জানান, ‘আমার ফোর্থ সাবজেক্ট ছিল আরবি৷ ফর্ম ফিল-আপের সময় তা উল্লেখ করেছিলাম৷ আমার চেক লিস্টেও তার উল্লেখ রয়েছে৷ কিন্তু আমার অ্যাডমিট কার্ডে ফোর্থ সাবজেক্টের কোনও উল্লেখ ছিল না৷ বিষয়টি আমি আগেই প্রধান শিক্ষককে জানিয়েছিলাম৷ তিনি বলেছিলেন, এর জন্য পরীক্ষা দিতে সমস্যা হবে না৷ কিন্তু অ্যাডমিট কার্ডে ফোর্থ সাবজেক্টের উল্লেখ না থাকায় শীতলপুর হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ আজ আমাকে পরীক্ষা দিতে দেয়নি৷ তবে বলেছিল, আমি নিজের চেক লিস্ট দেখাতে পারলে আমাকে তারা পরীক্ষা দিতে দেবে৷ সেকথা শুনে আমি আমার বাবা আর দাদাকে নিয়ে থাহাহাটি মাদ্রাসায় আসি৷ প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানাই৷ দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করানোর পর আমার চেক লিস্ট দেখতে দেওয়া হয়৷ দেখি, সেখানে ফোর্থ সাবজেক্টের বিষয়টি ঘষামাজা করে মুছে ফেলা হয়েছে৷ নিজেদের দোষ ঢাকতেই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এই কাজ করেছে৷ চেক লিস্টের ছবি তুলতে গেলে প্রধান শিক্ষক আমার দাদার গায়ে হাত তোলেন৷ তার মোবাইল ফোন ছুড়ে ফেলে দেন৷ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের জন্য আমার ভবিষ্যৎ সংকটে পড়ে গেল৷’


শবনমের দাদা আকাশ খান বলেন,

‘থাহাহাটি হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের জন্য আমার বোনের উচ্চশিক্ষায় প্রশ্নচিহ্ন পড়ে গেল৷ অথচ তিনি একটু সহায়তা করলেই বোন পরীক্ষা দিতে পারত৷ এনিয়ে আমি এসডিও এবং বিডিওর কাছে অভিযোগ জানাব৷’

শীতলপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সাইনুর হক বলেন, ওই পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ডে ফোর্থ সাবজেক্টের কোনও উল্লেখ ছিল না৷ ফলে কাউন্সিলের আইন মেনেই তাকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি৷ তবে এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে চাননি থাহাহাটি হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মুসলেমুদ্দিন আহমেদ৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page