এক ঘণ্টা পরেও মিলল না প্রশ্নপত্র, সমস্যায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী
দুদিন আগেই প্রসববেদনা নিয়ে চাঁচল সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন এক পরীক্ষার্থী। আজ ওই হাসপাতালে তাঁর পরীক্ষার সমস্তরকম ব্যবস্থা করা হলেও প্রশ্নপত্র প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে আসার অভিযোগ। এনিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছে জেলা শিক্ষা দফতরের আধিকারিক।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁচলের দরিয়াপুর ইমামপুর বরাম্বল হাইস্কুলের এক পরীক্ষার্থী দুদিন আগে প্রসববেদনা নিয়ে চাঁচল সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি হয়। পরিবারে তরফে হাসপাতালে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থার করে দেওয়ার জন্য লিখিত আবেদন করা হয়। ওই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলেও শিক্ষা দফতরে বিষয়টি জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে আজ ওই পরীক্ষার্থীর কাছে প্রশ্নপত্র পৌঁছতে প্রায় এক ঘণ্টা দেরি হয়ে যায়।
এই ঘটনা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা জেলার আধিকারিক আফসার হোসেন সরকার জানান, রোগীর পরিবার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে এই ঘটনা ঘটেছে৷ সকালে আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি৷ পরীক্ষা শুরুর পরও প্রশ্নপত্র পায়নি ওই পরীক্ষার্থী৷ খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে ছুটে আসি৷ শেষপর্যন্ত ওই পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জন্যই মেয়েটির পরীক্ষা দিতে দেরি হয়েছে৷
মালদা জেলাপরিষদের সভাধিপতি রফিকুল হোসেন জানান,
ওই পরীক্ষার্থীর সময় ব্যয় হওয়ার জন্য বাড়তি সময় দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ওই পরীক্ষার্থী যেন সমস্ত পরীক্ষা হাসপাতালে দিতে পারে সেই বিষয়টিও সুনিশ্চিত করা হচ্ছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Hozzászólások