top of page

ভাঙন রোধে মতামত দেওয়ায় মেজাজ হারালেন বিধায়ক, খানিক বাদেই নিখোঁজ ব্যক্তি

ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে মেজাজ হারিয়েছিলেন রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। অভিযোগ, সাধারণ মানুষের ক্ষোভের সামনে মেজাজ ধরে রাখতে না পেরে এক দুর্গতকে ধাক্কা দিতে শুরু করেন তিনি৷ সঙ্গে চলছিল অশালীন গালিগালাজ৷ তিনি ওই দুর্গত গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন সঙ্গে থাকা পুলিশকে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে হয় মহকুমাশাসককে। ওই প্রতিনিধি চলে যেতেই ফাঁড়ির পুলিশের তরফে ওই ব্যক্তিকে ডেকে পাঠানো হয় বলে দাবি করছেন তাঁর পরিবারের লোকজন। এরপর থেকেই নিখোঁজ তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অনুমান, গ্রেফতারি থেকে বাঁচতে তিনি ঘরবাড়ি ছেড়ে লুকিয়ে রয়েছেন।


গতকাল রতুয়ার ভাঙন বিধ্বস্ত গ্রামগুলি পরিদর্শনে যায় প্রশাসনের একটি দল৷ চাঁচলের মহকুমাশাসক সৌভিক মুখার্জি নেতৃত্বে সেচ দফতর সহ মহকুমা ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন৷ সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তথা দলের জেলা চেয়ারম্যান সমর মুখার্জি৷ অভিযোগ, প্রশাসনিক দলটি কান্তটোলা গ্রামে ভাঙন পরিদর্শনের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কালীটোলা গ্রামের বাসিন্দা বিষ্ণুপ্রসাদ সরাফ৷ তিনি সেচ আধিকারিককে জানিয়েছিলেন, শুধু বালির বস্তা জলে ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ করা যাবে না৷ তার জন্য কঞ্চি সহ বাঁশের সঙ্গে বালির বস্তা জলে ফেলতে হবে৷ তবেই ভাঙন প্রতিহত করা যেতে পারে৷ তখনই নাকি সমরবাবু মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। মারমুখী হয়ে ওঠার পাশাপাশি সঙ্গে থাকা পুলিশকে নির্দেশ দেন ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার। যদিও সেই সময় পরিস্থিতি সামাল দেন মহকুমাশাসক। ওই প্রতিনিধি দল চলে যাওয়ার পর বিকেলে মহানন্দটোলা পুলিশ ফাঁড়ি থেকে বিষ্ণুবাবুকে ফোন করে ফাঁড়িতে ডেকে পাঠানো হয়৷ এরপরেই নাকি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি৷



বিষ্ণুবাবুর মেয়ে পলক সরাফ জানান, গতকাল এক প্রতিনিধি দল ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে আসে। বাবা ওই প্রতিনিধি দলের এক ইঞ্জিনিয়ারকে বলেন, এর আগেও বালির বস্তা নদীতে ফেলা হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি। কঞ্চি সহ বালির বস্তা ফেললে ভালো কাজ হবে। তখনই বিধায়ক সমর মুখার্জি এসে বাবাকে উলটো পালটা কথা বলতে শুরু করেন৷ বাবাকে গ্রেফতার করার জন্য সঙ্গে থাকা পুলিশকে নির্দেশ দেন৷ সেই সময় কোনোমতে বিষয়টি মিটে যায়৷ বাবা বাড়িও চলে এসেছিলেন৷ বিকেলে মহানন্দটোলা পুলিশ ফাঁড়ি থেকে এক সিভিক ভলান্টিয়ার ফোন করে বাবাকে ফাঁড়িতে ডাকে। আতঙ্কে ১০ মিনিটের মধ্যে বাবা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান৷ তারপর থেকে আর বাবার খোঁজ পাওয়া যায়নি৷ পরে মা বিধায়কের বাড়িতে গিয়ে বাবাকে গ্রেফতার না করার আর্জি জানান। কিন্তু বিধায়ক কোনও কথায় গুরুত্ব না দিয়ে মাকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেন।


ঘটনাপ্রসঙ্গে বিধায়ক সমর মুখার্জিকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page