বন্যা পরিস্থিতি থেকে খানিক স্বস্তি, আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ভাঙন
পুজোর মুখে নতুন চিন্তা মানিকচকের বাসিন্দাদের। গঙ্গা জলস্তর কমায়, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে দোসর হয়ে উঠেছে ভাঙন। গঙ্গা এবার ছোবল মেরেছে মানিকচক ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কামালতিপুরে।
চলতি মরশুমে মানিকচক ও রতুয়া ১ নম্বর ব্লকে ভাঙন দেখা দেয়। রতুয়ার মহানন্দটোলা, বিলাইমারির পাশাপাশি মানিকচকের গোপালপুর, উত্তর চণ্ডীপুরেও মরশুমের শুরুতে ভাঙন হয়েছিল। এরই মধ্যে গঙ্গার জলস্তর বাড়তে থাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। কয়েক লক্ষ মানুষ বন্যার কবলে পড়েন। মাস দুয়েক বন্যা পরিস্থিতি কাটানোর পর অবশেষে জলস্তর কমতে শুরু করেছে গঙ্গার। জলস্তর কমতে থাকার পাশাপাশি ভাঙন দেখা দিতে শুরু করেছে কামালতিপুরে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইতিমধ্যে নদীগর্ভে চলে গিয়েছে ৩০০ মিটারের বেশি এলাকা।
এক স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ কুতুবুদ্দিন জানান, সব জমি গঙ্গায় চলে গেল৷ বন্যায় ঘরছাড়া হয়ে বাঁধে আশ্রয় নিয়েছি৷ জল নামলে ঘরে ফিরে যাব৷ কিন্তু পেট কীভাবে চলবে? এরপর কীভাবে বাঁচব জানি না৷ যেভাবে ভাঙন হচ্ছে, তাতে ঘর যেতেও বেশি সময় নেই৷ আমরা সরকারের কাছে ত্রাণ চাই না৷ আমাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক৷
পরিস্থিতি দেখে ঘর ভাঙতে শুরু করেছেন মহম্মদ নইমুদ্দিন। তিনি জানান, বন্যার জল ঘরে ওঠেনি। তবে যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে তা দেখে মনে হচ্ছে দু-এক দিনের মধ্যেই আমার বাড়িও ভাঙনের কবলে পড়বে। সময় থাকতে ঘর ভেঙে দেওয়া ভালো। তাতে ইট-কাঠ কিছু পাওয়া যাবে। বিধায়ক, সাংসদ, এমনকি প্রশাসনের কর্তারাও কেউ এখানে আসেননি৷ আমরা সরকারের কাছে বাড়ি তৈরির জন্য জমি দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Komentar