বিচারাধীন বন্দীর মৃত্যু মালদা মেডিকেল কলেজে
এক বিচারাধীন বন্দীর মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য মালদা মেডিকেল কলেজ চত্বরে। এই ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতি ও পুলিশের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন ওই বন্দীর মা। ছেলের মৃত্যুর বিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন বলে জানান মৃত বন্দীর মা।
মৃত ছেলের নাম রাজেশ পাশোয়ান (২৬)। উত্তর দিনাজপুর থানার রায়গঞ্জ বেসরকারি বাস স্ট্যান্ড লাগোয়া রবীন্দ্রপল্লীতে তাঁর বাড়ি। স্ত্রী কবিতা তাঁর ৭ মাসের মেয়েকে রেখে বছর আটেক আগে মারা যান। বাবাকে খুনের অভিযোগের ভিত্তিতে ছেলে রাজেশ বিচারাধীন বন্দী হয়ে রয়েছেন। যদিও ছেলের বিরুদ্ধে মায়ের কোনও অভিযোগ নেই। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা করে। প্রায় ৭ বছর ধরে রাজেশ বিভিন্ন সংশোধনাগারে ঘুরে শেষে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট সংশোধনাগারে আসে। এদিকে মাস খানেক ধরে পেটের রোগে ভুগছিল রাজেশ। দিন দশেক আগে মালদা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় তাকে। মালদা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর।
মা সন্ধ্যা পাশোয়ান বলেন, তাঁকে কিছুই জানানো হয়নি। এদিন সকালে রায়গঞ্জ পুলিশ তাঁকে বলে রাজেশ খুব অসুস্থ। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছুটে আসি মেডিকেল কলেজে। এসে দেখেন ছেলের দেহ মর্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত সন্ধ্যাদেবীর অভিযোগ, চিকিৎসা চলাকালীন তাঁকে ছেলের কাছে আসতে দেওয়া হত না। তিনি ছেলের সঙ্গে দেখা করতে এলে পুলিশ তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। পুলিশ তাঁকে বলেছে, চিকিৎসকদের দিয়ে রাজেশকে ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলবে। ৭ দিনের মধ্যে রাজেশ মারা যাবে। তিনি ছেলের খুনের বিচার চান।
গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতির সদস্য জিষ্ণু রায়চৌধুরি জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আছে, বিচারাধীন বন্দীর অসুস্থতায় বন্দীকে পরিবারের লোকেরা দেখভাল করতে পারেন। চিকিৎসার ব্যাপারে যাবতীয় তথ্য পুলিশ পরিবারের লোকেদের জানাতে বাধ্য। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে অবমাননা করেছে পুলিশ। তাঁরা সমস্ত ঘটনা জানিয়ে আইনের দ্বারস্থ হচ্ছেন।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
প্রতীকী ছবি।
Comments