স্ত্রী ও শিশুকন্যাকে পুড়িয়ে মারার দায়ে যাবজ্জীবন সাজা
অবশেষে ফাস্ট ট্র্যাক ফার্স্ট কোর্টের মাধ্যমে এক গৃহবধূ ও তাঁর ৯ মাসের শিশুকন্যাকে পুড়িয়ে মারার অপরাধীদের সাজা ঘোষণা হল। ওই বধূর স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির ৫ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনালেন বিচারক৷ এদিন এই মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আদালত চত্বরে কৌতূহল ছিল৷
উল্লেখ্য, ইংরেজবাজার থানার যদুপুর এলাকার বাসিন্দা সাবিত্রী পাহাড়ির সঙ্গে বিয়ে হয় কোতুয়ালি সংলগ্ন চোখবন্দি গ্রামের বিজয় পাহাড়ির৷ বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই পণের দাবিতে বিজয় ও তার বাড়ির লোকজন সাবিত্রীর উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার শুরু করে বলে অভিযোগ৷ সাবিত্রী একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ায় তাঁর উপর শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার আরও বাড়ে৷ শেষ পর্যন্ত ২০১২ সালের ১৮ অক্টোবর রাত ৮টা নাগাদ বিজয় ও তার বাড়ির লোকজন ঘুমন্ত সাবিত্রী ও তাঁর মেয়ে পূর্ণিমার বিছানায় আগুন ধরিয়ে দেয়৷ পুড়ে মারা যান সাবিত্রীদেবী ও তাঁর ৯ মাসের শিশুকন্যা৷ এই ঘটনায় ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় সাবিত্রীর বাবার বাড়ির তরফ থেকে৷ গ্রেফতার করা হয় বিজয়, তার তিন দাদা বিপদ পাহাড়ি, দানেশ পাহাড়ি ও দীনেশ পাহাড়ি এবং সাবিত্রীর জা গীতা পাহাড়িকে৷ তাদের জেল হেপাজতে রেখে শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া৷ অবশেষে প্রায় সাড়ে ৫ বছর পর এই মামলার রায় ঘোষিত হল৷
এপ্রসঙ্গে সরকারি পক্ষের আইনজীবী মধুশ্রী সিন্হা বলেন, ২০১২ সালের ১৮ অক্টোবর শোওয়ার ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে অভিযুক্তরা সাবিত্রী পাহাড়ির বিছানায় আগুন ধরিয়ে দেয়৷ পুড়ে মারা যান সাবিত্রী ও তাঁর ৯ মাসের শিশুকন্যা পূর্ণিমা৷ এই মামলায় মোট ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন ফাস্ট ট্র্যাক ফার্স্ট কোর্টের বিচারক রাজেশ তামাং৷ গতকালই তিনি মূল অভিযুক্ত ৫ জনকে দোষী সব্যস্ত করেন৷ এদিন বিচারক ৫ জনকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছেন৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
ভিডিয়োঃ কৃতাঙ্ক
Comments